|
|
|
|
সপরিবার ফব ছাড়লেন কলিম-পুত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শেষ পর্যন্ত সপরিবার দল ছাড়লেন ফরওয়ার্ড ব্লকের কলকাতা জেলা সম্পাদক মইনুদ্দিন শামস। বাম জমানার প্রয়াত মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের ছেলে মইনুদ্দিন শনিবার ফব-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের কাছে তাঁর নিজের, তাঁর স্ত্রীর, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ভাই নিজামুদ্দিন শামস এবং পেশায় চিকিৎসক আর এক ভাই জামালুদ্দিন শামসের ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন। চিঠিতে ফব-র বিরুদ্ধে আদর্শচ্যুতি এবং তাঁর প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ জানান কলিম-পুত্র। তিনি নিজে স্পষ্ট করে না বললেও তৎপরতা চলছে তৃণমূলে তাঁর যোগদান নিয়েই।
অশোকবাবুকে পাঠানো চিঠিতে মইনুদ্দিন লিখেছেন, ‘বাবা অনেক কম বয়সে যে ফব-র হাতে আমাদের তুলে দিয়েছিলেন, সেই দল এখন আর সেই জায়গায় নেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি এবং নাম আছে। কিন্তু তাঁর আদর্শ নেই’। ইস্তফা পত্রে মইনুদ্দিনের আরও অভিযোগ, ‘দলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে এক গুচ্ছ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং অপমান ছাড়া আর কিছু পাইনি’। মইনুদ্দিন আসলে বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে তাঁকে অন্তর্ভুক্তির আশ্বাসের কথা। তাঁর অভিযোগ, বার বার আশ্বাস দিয়েও ফব নেতৃত্ব কথা রাখেননি। অথচ, বেশ কিছু দিন ধরেই ফব-র রাজ্য নেতৃত্বে হাফিজ আলম সৈরানি ছাড়া আর তেমন কোনও সংখ্যালঘু মুখ নেই। কলকাতায় সংখ্যালঘু নেতা হিসাবে দলে তাঁর আরও বেশি সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল বলে মইনুদ্দিনের দাবি।
ফব-র রাজ্য সম্পাদক অশোকবাবু অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেই দল ভাঙানোর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর বক্তব্য, “যেখানে যেখানে আমাদের সংগঠন আছে, সেখানেই তৃণমূল যেন-তেন-প্রকারেণ দল ভাঙতে চাইছে।
অবশ্য ফব-র একটা বড় অংশই এই দলত্যাগের সঙ্গে আদর্শের কোনও সম্পর্ক দেখছে না। তাঁদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থেই মইনুদ্দিনের এই সিদ্ধান্ত। হারিয়ে ফেলা আদর্শ তৃণমূলে খুঁজে পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলে ওই অংশের মত। তিনি কি তৃণমূলেই যাচ্ছেন? মইনুদ্দিনের জবাব, “আমার সমর্থক-অনুগামীদের সঙ্গে আজও বৈঠক করছি। আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।” |
|
|
|
|
|