অনুরাধা সাহার মৃত্যু: ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের |
অবশেষে ১৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। চিকিত্সায় গাফিলতিতে আমেরিকা প্রবাসী অনুরাধা সাহার মৃত্যুর ঘটনায় যুগান্তকারী রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ১৯৯৮ সালে অনুরাধা সাহার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও তিন ডাক্তারকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। আট সপ্তাহের মধ্যে মৃতার স্বামী চিকিত্সক কুণাল সাহাকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চিকিত্সক বলরাম প্রসাদ, সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও বৈদ্যনারায়ণ হালদারকে নির্দেশ দেয় বিচারক এস জে মুখোপাধ্যায় এবং বিচারক ভি গোপালা গৌড়ার বেঞ্চ।
১৯৯৮-এ গরমের ছুটিতে কলকাতায় বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুরাধাদেবী। কিছু দিন চিকিৎসা চলার পরে ওই বছরই ২৮ মে তাঁর মৃত্যু হয়। তার পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে চার চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, বৈদ্যনাথ হালদার, অবনী রায়চৌধুরী ও বলরাম প্রসাদ এবং আমরি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর স্বামী কুণালবাবু। জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন অবশ্য প্রথমে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। কমিশনের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান কুণালবাবু। অনুরাধাদেবীর মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে বিষয়টি ফের জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে পাঠিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কমিশন সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে কমিশন। এর মধ্যে মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয় চিকিত্সক অবনী রায়চৌধুরীর। আদালত সূত্রে খবর, চিকিত্সক বলরাম প্রসাদ ও সুকুমার মুখোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা করে ও চিকিত্সক বৈদ্যনারায়ণ হালদারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
প্যারোলে মুক্ত বন্দি পলাতক |
প্যারোলে ছাড়া পেয়ে চম্পট দিল আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের এক বন্দি। এ ব্যাপারে আলিপুর থানায় আলিপুরের জেল সুপার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত জয়নাল গাজি খুনের দায়ে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছিল। ইতিমধ্যে ১০ বছর সাজা পূর্ণ হয়েছে তার। গত ১২ সেপ্টেম্বর প্যারোলে ছাড়া পেয়ে জয়নগরে নিজের বাড়ি যায় সে। নিয়মানুযায়ী প্যারোলে ছাড়া পেলে স্থানীয় থানায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ বার সে জয়নগর থানায় হাজিরা দেয়। কিন্তু তার পর থেকে তার কোনও খোঁজ মেলেনি।
|