রামপুরহাট থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মাসড়া। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্তের দূরত্ব মাত্র দু’ কিলোমিটার। পুরাকীর্তির কারণে লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মলুটি গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এলেও ব্রাত্যই রয়ে যায় মাসড়া গ্রাম। অথচ গত ৩২ বছর ধরে স্থানীয় ‘রূপম কালচারাল ক্লাব’ ওই গ্রামে একটি নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলেছে। তাদের পরিচালনায় সেখানে নিয়মিত আকারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, যাত্রাপালা প্রভৃতি হয়ে আসছে। গ্রামের যে সব মানুষ বছরভর সংসার চালাতে কাজের জন্য গ্রামের বাইরে থাকেন, তাঁরাও সমবেত হন ওই ক’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টানে। |
মেয়েদের নাটক।—নিজস্ব চিত্র। |
এ বারে ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল বিশিষ্টদের সংবর্ধনার পালা। যাঁদের অন্যতম ছিলেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, বীরভূমেরই বাসিন্দা আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি ছড়া শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হন। পরে গ্রামের পড়ুয়ারা একটি নাটক মঞ্চস্থ করে। গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় ছাত্রী এবং মহিলারা নিজেরাই নাটক মঞ্চস্থ করছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সৈয়দ মইনুদ্দিন হোসেন ও বন দফতরের অবসরপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার জীবেন্দকুমার সাহা বলেন, “এই গ্রামে কোনও ভেদাভেদ নেই। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষ আমাদের উত্সবে মাতেন। সব উত্সবেই তাঁরা সামিল হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে প্রশাসনিক উদাসীনতায় এলাকার রাস্তা ততটা সুগম্য নয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও বহু এলাকার মানুষ এখানে পৌঁছতে পারেন না।” নানা রকমের বাধা সত্ত্বেও মাসড়া গ্রামের সাংস্কৃতিক চর্চার এই ঐতিহ্য সম্পর্কে গ্রামবাসীরা গর্বিত। একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
|
নাট্যোৎসব
নিজস্ব সংবাদদতা • হলদিয়া |
জেলা আঞ্চলিক নাট্যোৎসব ও আলোচনাচক্রের আয়োজন করল মহিষাদল শিল্পকৃতি সংস্থা। শনিবার থেকে তিন দিন ব্যাপী রবীন্দ্র পাঠাগারের মঞ্চে ওই নাট্যোৎসবে জেলার আটটি নাটকদল তাঁদের নাটক মঞ্চস্থ করছে। আলোচনাসভায় মফস্সলে নাট্যচর্চার সমস্যা ও তার সমাধান এবং নাট্য নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। সংস্থার সম্পাদক সুরজিৎ সিংহ জানান, পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যে জেলায় নাট্যচর্চার প্রসার ও মানোন্নয়নের জন্য সংস্থা এই উদ্যোগ নিয়েছে।
|
সুফি সাধক হজরত কুরবান শা বাবার মহোত্সব হয়ে গেল বিষ্ণুপুরে। রবিবার কুরবানতলার
মাজারে সকাল থেকে রাতভর ছিল নানা অনুষ্ঠান। মাজারের সেবাইত দিল মহম্মদ
জানান, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ৫০ জন দুঃস্থকে সাহায্য করা হয়। দুপুরে পঙক্তিভোজ ছিল।
|
জেলা পুলিশের উদ্যোগে শনিবার কাটোয়া রবীন্দ্রভবনে হয়ে গেল
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপরে তারই একটি মুহূর্ত।—নিজস্ব চিত্র।
|
ভাল চরিত্র পেলে বাংলা ছবিতে কাজ করতে রাজি, কলকাতায় এসে জানালেন চিত্রাঙ্গদা সিংহ।
‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’ ছবি র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এসেছিলেন নায়িকা। ছিলেন পারপেল
মুভি টাউনের একটি অনুষ্ঠানে। ছিলেন ছবির কুশীলব কেকে মেনন, পরিচালক সুধীর মিশ্র
এবং প্রযোজক প্রীতীশ নন্দীও। রবিবার মুম্বই ফিরে যান চিত্রাঙ্গদা। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |