রোগীর আত্মীয়দের হামলার জেরে বন্ধ হয়ে গেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগের পরিষেবা। ঘটনাটি পুরুলিয়া পাড়া ব্লকের ন’ডিহা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। বৃহস্পতিবার থেকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রর দশ শয্যার অন্তর্বিভাগ বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি চোট পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। ছুটির দিন হওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রর বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ করে ওই রোগীর আত্মীয়েরা কর্তব্যরত নার্সকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন ওই নার্স। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অমিত দুবে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিন জন নার্স থাকার কথা থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে দু’জনকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে, এক জন নার্সকে দিয়ে টানা পনেরো দিন কাজ চালানো হয়েছে। কিন্তু, বুধবারের ঘটনার পরে তিনি নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় পড়ে ছুটি নিয়ে চলে যাওয়ায় অন্তর্বিভাগ বন্ধ রাখতে হয়েছে। অমিতবাবুর কথায়, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দফতরের কাজে বাইরে রয়েছেন। নার্সও নেই। এই অবস্থায় আমার একার পক্ষে অন্তর্বিভাগ চালানো সম্ভব নয়। তাই জরুরি ও বহির্বিভাগে যে রোগীরা আসছেন, তাঁদের দেখে প্রয়োজনে রেফার করতে বাধ্য হচ্ছি। পুরো পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
রাজ্যে যোগ ও নেচারোপ্যাথি হাসপাতাল হচ্ছে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ সহায়তায় এই প্রথম রাজ্যে একটি যোগ ও নেচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আয়ুষ বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি দলে ছিলেন যোগ ও নেচারোপ্যাথি কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল ও স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র সুমন বিশ্বাস।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, হাসপাতালটি হবে ১১০ শয্যার। তবে মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যা চূড়ান্ত হয়নি। তবে সাড়ে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি পড়ানো হবে। যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদের কাউন্সিল ডিগ্রি দেবে। এরা চিকিৎসক হিসাবেই কাজ করবেন। রোগীদের শুধুমাত্র যোগ থেরাপি ও নেচারোপ্যাথির ওষুধই দিতে পারবেন তাঁরা। অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে যোগ থেরাপি চালুর ব্যাপারেও এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |