প্লাবিত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ত্রাণ নিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার জলে ডুবে প্রাণ হারালেন এক গ্রামবাসী। এই নিয়ে রাজ্যের সাম্প্রতিক দুর্যোগ ও প্লাবনে ১০ জনের মৃত্যু হল। এ দিনই নবান্নে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রের খবর, দুর্যোগ ও প্লাবনে মৃতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ উদয়নারায়ণপুরের ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বেনাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় দিনমজুর শৈলেন্দ্রনাথ মালিক (৪৬) আর এক গ্রামবাসীর সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ত্রাণ আনতে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা এগোতেই জলের স্রোতে দু’জনেই ভেসে যান। সঙ্গী অন্য জন বেঁচে গেলেও শৈলেন্দ্রনাথাবুকে সেই সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দেড় কিলোমিটার দূরে চিত্রসেনপুর-তালতলার কাছে খেজুর গাছ থেকে তাঁর আটকে থাকা দেহ উদ্ধার করে। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “প্লাবনে বাড়ি ভেঙে এবং ডুবে বুধবার পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়।’’
|
বাথরুমের শাওয়ারের পাইপ থেকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে চুঁচুড়ার তুলাপট্টি ঘাটের ঘোষগলি এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম মনোজিৎ মুখোপাধ্যায় (২১)। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মনোজিতের মৃত্যু নিয়ে অন্ধকারে পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানান, বুধবার দুপুরে খাওয়ার পরে তিনি নিজের ঘরে চলে যান। তার পরে আর তাঁর সাড়া মেলেনি। শেষমেশ তাঁর ঘরের দরজা খুলে লাগোয়া বাথরুমে দেহটি ঝুলতে দেখা যায়। |