একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সামনের সারিতে; অনেক দিন কাজ হয়েছে, অনেক টাকা এই খাতে রাজ্যের হাত দিয়ে ব্যয় হয়েছে— জেনেছি নেতানেত্রীর বক্তৃতা থেকে। এ ব্যাপারে আমার কয়েক দিন আগের অভিজ্ঞতা বলি, সকালবেলা বাড়ির গেটের কাছে হঠাত্ অনেকগুলো গলার আওয়াজে ভাবলাম, পাড়ায় কোনও অঘটন ঘটল না তো? জানলা দিয়ে উঁকি মেরে বুঝলাম, ওরা এসেছে একশো দিনের কাজে। আজ আমাদের পাড়ার রাস্তা পরিষ্কার হবে।
|
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ওদের কোনও কাজে নাক গলাই না। যা করছে, করুক। সামান্য হলেও দারিদ্র কিছুটা দূর হচ্ছে। তবে একটা কষ্ট হচ্ছে। কাজ না-করেও পারিশ্রমিক পাওয়া যেতে পারে, সেই অভিজ্ঞতায় ক্রমে অভ্যস্ত হচ্ছে। ওরা সাতটায় এল, ওদের চালনদার এখনও পৌঁছয়নি, তাই আধ ঘণ্টা চা-বিস্কুট গালগল্প। তার পর কাস্তে কোদাল ঝুড়ি নিয়ে কাজ কাজ খেলা। আটটার মধ্যেই কাজ শেষ। রাস্তার অবস্থা আগে যা ছিল প্রায় সে রকমই।
জানি না, এন আর ই জি এ প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কিছু স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয় কি না। যেখানে কিছু মানুষ দায়বদ্ধ, সেখানে হয়তো কিছু হয়। তবে কর্মক্ষম মানুষগুলোকে ফাঁকিবাজি শেখানোটা কি খুবই দরকার ছিল?
শতমন্যু কাশ্যপ। শান্তিনিকেতন, বীরভূম
|
কর্মসূত্রে একটানা নয় বছর (২০০০-২০০৮) থেকেছি হায়দরাবাদে। দেখেছি, বাসকে অত্যাবশ্যকীয় পরিবহণ হিসেবে গণ্য করে সেই ব্যবস্থার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। হায়দরাবাদ-সহ গোটা অন্ধ্রপ্রদেশে যোগাযোগের মূল ভিত্তি সরকারি বাস। বেসরকারি বাস চোখে পড়ে খুব কম। ফলে, বাস মালিকদের তর্জন বা মন কষাকষি কিংবা বাস ধর্মঘট সে রাজ্যে বিরল।
ভাস্কর রায়। কলকাতা-৭৭ |