স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালুর দাবি |
দাবি জানাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু কাজ হয়নি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে মানবাজারের গোপালপুরের বাসিন্দারা সম্প্রতি তাঁদের এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু করার দাবি জানালেন। পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তায় গোপালনগর গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি অনেক দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। কাছাকাছি বলতে মানবাজারে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু তার দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। ওই রাস্তায় পুঞ্চা ব্লকের অধীনে আনন্দদ্বীপে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু গোপালনগর থেকে সেখানকার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। সেখানে আবার শুধু বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। ফলে ছোটখাটো অসুখেও গোপালনগরের বাসিন্দাদের মানবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। তা না হলে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে যেতে হয়। সম্প্রতি ওই রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খাতড়ায় যাচ্ছিলেন। বাসিন্দারা জানান, তাঁর কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ধ্রুবলাল চক্রবর্তী বলেন, “এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলে অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন। প্রায় দু’দশক ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজ হয়নি।” মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা বলেন, “ওই এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাপ কমবে।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “গোপালনগর এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চেয়ে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
|
বৃষ্টির সঙ্গেই পুরুলিয়া জেলায় আন্ত্রিকও পিছু ছাড়ছে না। বরবাজারের পরে হুড়া ব্লকের আমলাতোড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০। তাঁদের বেশির ভাগই হুড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যেই আমলাতোড়া গ্রামের নামোপাড়া ও সহিসপাড়ার একাধিক বাসিন্দা বমি, পেটব্যাথা ও পায়খানার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। স্থানীয় বাসিন্দা বাণী সহিস, সরলা মাহাতো, অম্বিকা মাহাতোদের কথায়, “গ্রামে মোড়ের মাথায় যে নলকূপ রয়েছে, তার জল আমরা খাই। মনে হয় ওই জল দূষিত হয়েই বিপত্তি।” এলাকায় শিবির করছে স্বাস্থ্য দফতর। হুড়ার বিএমওএইচ দেবশঙ্কর হাঁসদা বলেন, “পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জলের কোন উৎস থেকে আন্ত্রিক ছড়িয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বিভিন্ন জায়গা থেকে জল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” তিনি জানান, অসুস্থদের অধিকাংশকেই গ্রামে ফেলে না রেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ মাহাতোর ওই গ্রামেই বাড়ি। তিনি বলেন, “বর্তমানে গাড়ি করে গ্রামে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে।”
|
জলমগ্ন গ্রামে শিবির পরিদর্শনে স্বাস্থ্যকর্তা |
জল নামতে শুরু করেছে। এ বার বিভিন্ন এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বুধবার মেদিনীপুর সদরের ব্লকের কয়েকটি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। মঙ্গলবার কেশিয়াড়ি এবং দাঁতন-১ ব্লকে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেলার উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (২) রবীন্দ্রনাথ প্রধান। বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মেদিনীপুরে কন্ট্রোল রুমও খুলেছে। মেডিক্যাল ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুত করা হচ্ছে। মাস খানেক আগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত, জলমগ্ন এলাকাতেই এই রোগ ছড়ায়। একের পর এক এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। বেশ কয়েকজন ডেঙ্গি, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। এ বার ওই একই পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যে দাঁতন-১, কেশিয়াড়ির বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “কয়েক জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেরই চিকিৎসা চলছে। বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে, উদ্বেগের কিছু নেই।”
|
মরণোত্তর চক্ষুদানের শপথ নিয়ে মহা সপ্তমীর অঞ্জলিতে সমর্পিত মহিলা পরিচালিত বালুরঘাটের মাতৃশক্তি সঙ্ঘের ৪০ জন সদস্য শহরের নজর কাড়লেন। শহরের মঙ্গলপুর ব্রিজকালী মোড়ে আয়োজিত দেবীর আরাধনায় বরাবরের মতো মণ্ডপ সজ্জা থেকে বাড়িতে ঘুরে চাঁদা তোলা, আয়োজনের সব দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়ে থেমে থাকেননি শিখা সাহাচৌধুরী, গৌরী দাস, গোধুলি সরকার, মঞ্জু মোহান্ত, সুমনা দাস। পুজোয় দেবীকে সাক্ষী রেখে চক্ষুদানে ক্লাবের ৪০ জন সদস্য এগিয়ে আসেন। জেলাশাসক জানান এমন দৃষ্টান্তের নজির নেই। ওই কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।”
|
গ্রামে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না। সমস্যা মেটাতে অ্যাম্বুল্যান্স দান করলেন পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরের গয়না ব্যবসায়ী প্রাণকৃষ্ণ তপাদার। পুজোর আগে তিনি পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকের কাছে এ ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নবমীর দিন অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দেওয়া হয় একটি সংস্থার হাতে। দরিদ্রদের থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্সের কোনও ভাড়া নেওয়া হবে না, জানিয়েছে সংস্থাটি।
|
বৈদ্যবাটি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং পিয়ারাপুর পঞ্চায়েতের মাঝিপাড়ায় সোমবার থেকে আন্ত্রিক ছড়ায়। প্রায় ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার ত্রিদিব মুস্তাফি মেডিক্যাল টিম পাঠান। বৈদ্যবাটি পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী এবং শ্রমজীবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। স্বাস্থ্য দফতর জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। |