বাস দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ২২ জন যাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় তিন জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাত জন করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার সকালে মুরুটিয়ার দিঘলকান্দি থেকে করিমপুর যাচ্ছিল বাসটি। করিমপুর কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের উপর বাজিতপুর মাঠ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছকে ধাক্কা মারে যাত্রী বোঝাই বাসটি। বাসের যাত্রী সুষমা মণ্ডল, দীপক দে, পূরবী বিশ্বাসরা বলেন, “বাসটি বেশ দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ বিকট একটা আওয়াজে আমরা সবাই ছিটকে পড়ে যাই। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের কাজে হাত লাগান।”
|
পরিচিত দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর আটদিন কেটে যাওয়ার পরেও কোনও খোঁজ মেলেনি পেশায় মৎস ব্যবসায়ী মোতালেম সেখের। সুতির সাহাজাদপুরের বাসিন্দা মোতালেমের বাবা সাইমুদ্দিন সেখ তাঁর ছেলের দুই বন্ধুর নামে অভিযোগ করেছেন।
|
পায়েল পাল, সুমনা সাহা দু’জনেই পড়ে ক্লাস এইটে। কিন্তু দু’জনেরই এখন নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। না, সামনে পরীক্ষার জন্য নয়। কাল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় দুই ছাত্রীই এখন লক্ষ্মীর সরা আঁকতে ভীষণ ব্যস্ত। কারণ আর সময় নেই। তবে বছরের এই সময়টায় নদিয়ার তাহেরপুরের পালপাড়া লক্ষ্মীর সরা আঁকায় ব্যস্ত থাকলেও লক্ষ্মীর কৃপা তাঁদের কাছে তেমন পৌঁছয় না। তাহেরপুরের এ-ব্লকের প্রায় ৫০টি পরিবার লক্ষ্মীর সরা তৈরি করে সংসার চালায়। লক্ষ্মী-নারায়ণ, দুর্গা, ১ পুতুল, ৩ পুতুল, ময়ূর ৫ পুতুল, রাধা-কৃষ্ণ ৬ পুতুল মূলত এই ছয় রকমের পুতুল তৈরি করেন তাঁরা। এ বছর বৃষ্টিতে বাজার জমেনি। খুচরো ব্যবসায়ীরা তেমন সরা কিনতে আসেনি। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ পালপাড়ার। দীর্ঘদিন ধরে সরা আঁকছেন শিল্পী সুকুমার পাল। বললেন, “এ কাজে আর পেট চলে না। বাজারও ভাল নয়। প্রতি বছর বিক্রি কমছে। এ বছর ১০ হাজার সরা এঁকেছি। বিক্রি হয়েছে সাত হাজার। এক একটি সরায় খরচ পড়ে ১০ টাকার মতো। লক্ষ্মীপুজোর সময়েই যা বিক্রি। এ বার বৃষ্টি ভীষণ ক্ষতি করে দিল।’’
|
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত শিক্ষক |
নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে হাঁসপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অতনু কর্মকার নামে ধৃত ওই শিক্ষকের বাড়ি তেহট্টের রামনগরে। অভিযোগ, শুক্রবার সপ্তমীর দিন ওই ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান অতনু। ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, মাদক খাইয়ে তাঁর ছেলের উপর যৌন নির্যাতন করেন ওই শিক্ষক। ওই দিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটা তাঁদের জানায়। তারপর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। শনিবার পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তেহট্টের এসডিপিও সুনীল সিকদার বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |