সারা দেশ যখন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন করতে একজোট হচ্ছে তখন উল্টো পথে হাঁটলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তামাকজাত দ্রব্য যেমন গুটখা, খৈনি ইত্যাদি বর্জনের জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। বেশ কিছু রাজ্যে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। কিন্তু বিহার আছে বিহারেই। রাজ্যে তামাকের উত্পাদন বাড়াতে এবং তামাক চাষিদের আয় বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার। সম্প্রতি গ্যাটস-এ প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, বিহারের ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৫ শতাংশ মহিলা খৈনির নেশায় আসক্ত। শুধু তাই নয়, এই সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ রাজ্যে প্রতি সেকেন্ডে একজন যুবা খৈনিতে আসক্ত হচ্ছেন। অর্থাত্ পরিস্থিতি ভয়াবহ। কিন্তু সমীক্ষা যাই বলুক, তাতে কি কোনও ভাবে সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাবে? এর উত্তর জানা না থাকলেও এই সিদ্ধান্তের ফলে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নীতীশ কুমার ও তাঁর সরকারকে।
|
পাহাড়ে তৃণমূল সমাবেশের প্রস্তুতি |
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি অনেকবার গিয়েছেন দার্জিলিঙে। এ বার তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পাহাড়ে সমাবেশ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমাবেশের জন্য দলের তরফে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই সভায় মোর্চার কয়েকজন প্রথম সারির নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারে। মোর্চার অন্দরের খবর, দলের নানা স্তরের নেতা তো বটেই, কয়েক জন জিটিএ সদস্যও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে মোর্চার সদর দফতরে খবর পৌঁছেছে। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে, আগামী ১৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর দলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হবে।
|
নারায়ণ সাইয়ের খোঁজে গুজরাত ও দিল্লি পুলিশ |
জোধপুরের আশ্রমে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বর্তমানে জেলেই রয়েছেন আসারাম। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলে নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধেও। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে সুরতে দুই বোন আসারাম বাপু ও তাঁর ছেলে নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৭৬, ৩৪২ এবং ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গত ২ অক্টোবর রাজস্থান হাইকোর্ট আশারাম বাপুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন নারায়ণ সাঁই। আসারাম ও তাঁর ছেলে নারায়ণ সাঁই তাঁদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গুজরাত হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন।
তাঁর সন্ধান পেতে এ বার একজোটে তল্লাশিতে নেমে পড়েছে গুজরাত ও দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণ সাঁইয়ের খোঁজে আসারাম বাপুর রোহিনী এবং নজফগড়ের আশ্রমগুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে গুজরাত ও দিল্লি পুলিশের বিশেষ যৌথ বাহিনী। |