বিহার থেকে ফিরল জগদ্দলের কিশোরীরা
গদ্দলের ছয় কিশোরীকে কী উদ্দেশ্যে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদের মধ্যে এক জনকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে বৃহস্পতিবার তোলা হয়েছিল সল্টলেকের জুভেনাইল কোর্টে। তাকে সোনারপুরের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিরা সকলেই এ দিন পরিবারের কাছে ফিরেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগদ্দলের ললিতা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছয় কিশোরীর কেউ বাড়ি ফেরেনি। সকলেরই স্কুলে যাবে বলেই ইউনিফর্ম পড়ে বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা কেউই ওই দিন স্কুলে পৌঁছয়নি। স্কুলের পোশাক বদলে শিয়ালদহ থেকে উঠে পড়ে বিহারগামী কোনও ট্রেনে।
এ দিকে, সন্ধ্যের পর থেকে ছয় কিশোরীর পরিবারই পৃথক পৃথক ভাবে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। বুধবার সকাল থেকে তুলকালাম বাধে এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করে জনতা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। কয়েক জন পুলিশ কর্মী জখম হন ইটের আঘাতে। পুলিশের লাঠিতেও চোট পান অনেকে। পুলিশের তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় জনতা।
মেয়েদের পাচার করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল স্থানীয় মানুষের। ওই ছ’জনের মধ্যে এক কিশোরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পাচারের লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় জগদ্দল থানায়। পরিবারের চার জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাঁরা আপাতত জেলহাজতে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তোলে সিপিএম। সব মিলিয়ে দিনভর এালাকা ছিল উত্তপ্ত।
একই এলাকার ছ’টি মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও বুধবার রাতেই মেয়েদের সন্ধান পায় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। জানা যায়, শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে বিহারে চলে গিয়েছিল মেয়েরা। এক জনের আত্মীয়ের বাড়ি ছাপরায়। সেখানে গিয়েই ওঠে। ফের বাঘ এক্সপ্রেসে চেপে ঘুরে বেড়ানোর সময়ে ধরা পড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের হাতে মেয়েদের তুলে দেয় বিহার পুলিশ। গোয়েন্দা প্রধান দেবাশিস বেজ বলেন, ‘‘ওরা সবে মাত্র ফিরেছে। ছোট ছোট মেয়ে। এখনই তাড়াহুড়ো করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি না। তবে সকলকেই জেরা করা হবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.