|
|
|
|
বৃষ্টি থেমেছে, ষষ্ঠীতেই মণ্ডপে মণ্ডপে জনস্রোত |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আশঙ্কার মেঘ দূরে সরিয়ে ষষ্ঠীর সকাল থেকেই বৃষ্টিহীন ছিল দুই মেদিনীপুর। শরতের রোদ্দুর গায়ে মেখে রাস্তায় বেরোতে দেরি করেননি উৎসাহী মানুষজন। উদ্যোক্তারাও খুশি। বোধনেই যে মণ্ডপে মণ্ডপে জনস্রোত!
সকাল থেকেই কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে, কেউ বা রিকশো চেপে ঘুরে বেড়িয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। সন্ধের পর ভিড় উপচে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে মণ্ডপের কাজ শেষ করতে
হিমশিম খেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। অনেকেই সব কাজ করে উঠতে পারেননি। আশঙ্কা ছিল, পুজোর মধ্যেও জল থই থই অবস্থা হবে। ষষ্ঠীর সকালে মেঘমুক্ত আকাশ সেই আশঙ্কায় জল ঢেলেছে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে কেউই রাজি নন। মেয়েকে নিয়ে এ দিনই ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সিপাইবাজারের বাবলু পান। তিনি বলেন, “যদি পরে বৃষ্টি নামে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রথম দিনেই মেয়েকে যতটা পারি ঠাকুর দেখিয়ে দিচ্ছি।” |
|
মেদিনীপুরের রবীন্দ্রবাজার পুজোমণ্ডপে ভিড়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ দিন সকাল থেকেই কাঁথির বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে উপচে পড়ছিল ভিড়। পঞ্চমীর রাতে কাঁথি ইউথ গিল্ডের পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ষষ্ঠীর দুপুরে থেকেই মণ্ডপে জনারণ্য। ইউথ গিল্ডের পক্ষে প্রসূন দাস বলেন, “ আবহাওয়ার কারণে কি না জানি না, তবে এ দিন মণ্ডপে যা ভিড় হয়েছে, তাতে বিগত বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।” পঞ্চমীতেই ক্লাব চৌরঙ্গীর পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন কাঁথির পুরপিতা সৌমেন্দু অধিকারী। ষষ্ঠীতে বার্নিংসান ক্লাবে পুজোর উদ্বোধন করেন ফুটবলার চিমা ওকোরি। পশ্চিমাঞ্চল সর্বজনীনের পুজোর উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্রাভিনেত্রী অনামিকা সাহা, নাট্যাভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। শারদ উৎসব উপলক্ষে কাঁথির পুলিশ-প্রশাসন ইতিমধ্যেই পুজো গাইড বের করা ছাড়াও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে-মণ্ডপে বিশেষ নজরদারির দিকে জোর দিয়েছে। ইভটিজিং বন্ধ করতে প্রতি মণ্ডপেই মহিলা পুলিশ কর্মীরা সাদা পোশাকে রয়েছেন বলে জানিয়েছে মহকুমা পুলিশ।
পুজোর ক’দিন নির্বিঘ্ন করতে মেদিনীপুর পুরসভার পক্ষ থেকেও নানা ব্যবস্থা থাকছে। দর্শনার্থীদের যাতে অসুবিধে না হয়, সে জন্য গোলকুয়াচকের কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে শিবির করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স। মেদিনীপুরের মহকুমা শাসক অমিতাভ দত্ত বলেন, “ কেউ হারিয়ে গেলে মাইকে ঘোষণা থেকে অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসার বব্যস্থা, হাসপাতালে পাঠানো সবই করা হবে।” খড়্গপুর শহরেও দর্শনার্থীদের জন্য নানা ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (০৩২২২-২৫৭০৮০)। পুজোর ক’দিন অতিরিক্ত এক ঘণ্টা করে জল সরবরাহও করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি বলেন, “পুজোর ক’টা দিন সকলে যাতে আনন্দে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন, সে জন্য সর্বত্র কড়া নজরদারি থাকবে।” |
|
|
|
|
|