সারদা-কাণ্ডে নিত্য নতুন মন্তব্য করে চাঞ্চল্য সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সদর দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে কুণালের দাবি, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাশ্মীরে পালানো বা ফিরে আসা, সবটাই ছিল পরিকল্পনামাফিক। কুণাল বলেন, “মূল বিষয়কে ধামাচাপা দিতে একাধিক ব্যক্তি সুদীপ্ত সেনকে প্ররোচনা দিয়ে ওই চিঠি লিখিয়েছিলেন। চিঠির বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। সবেতেই চক্রান্ত রয়েছে।” মুকুল রায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিন বেলা ২টোয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সদর দফতরে ফের ডেকে পাঠানো হয় কুণালকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে কুণাল জানান, বহু টাকার মালিক হয়েও সুদীপ্ত কলকাতার মাত্র তিনটি সিম কার্ড নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। এর আগে কুণাল বলেছিলেন, ‘‘মহান ন’জন ব্যক্তি সারদা সংস্থা থেকে উপকৃত হয়েছেন।” এ দিন তিনি বলেন, “সময় এলে পুলিশকে সব বলব।”
|
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিসর্জনের ঘাট বাড়াল পুরসভা। গঙ্গা সংলগ্ন ১৪টি ঘাটের পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি পুরসভা ব্যবস্থা করেছে পর্যাপ্ত আলোরও। মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এ বার ছোট ছোট ঘাটগুলিকেও ব্যবহার করতে অনুরোধ করছি। বেহালা ও খিদিরপুরের পুজো কমিটিগুলিকে দইঘাটে বিসর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।” তিনি জানান, বিসর্জনের সুবিধায় অন্য ঘাটের পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি গ্বালিয়র ঘাটের মাঝে থাকা পাঁচিলটি ভেঙে দিয়েছে পুরসভা। বিসর্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুরসভা ৩০০ কর্মীকে নিযুক্ত করছে। তাঁরা প্রতিমা বিসর্জনের পরে কাঠামো তোলা থেকে শুরু করে গঙ্গা দূষণ রোধের পুরো বিষয় নজরদারি করবেন।
|
ষষ্ঠীর দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল প্রাক্তন বিধায়ক তারক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৭০)। উত্তর কলকাতার কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন তারকবাবু। তার পরে ২০০১ এবং ২০০৬ সালে পরপর দু’বার তিনি কাশীপুর থেকেই তৃণমূলের হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০১১-য় পরিবর্তনের বাজারে তিনি তৃণমূলের মনোনয়ন পাননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ জনেরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে তারকবাবু বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদ্য ভবনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বৈঠক সেরে ফেরার পথেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বাগবাজারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকবাবুর মরদেহ এ দিন রাখা হয়েছে শহরের একটি শব সংরক্ষণাগারে। আজ, শুক্রবার বিধানসভায় মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পরে শেষকৃত্য হওয়ার কথা। |