|
|
|
|
টুকরো খবর |
তপন-সুকুর থেকেই এখন অনুব্রত, খোঁচা শরিকদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গ্রামে-গঞ্জে অতীতে যেখানে সিপিএম জবরদস্তি ক্ষমতা বজায় রেখেছিল, সেখানে এখন সেই কাজই আরও বিপুল উৎসাহে করছে তৃণমূল! সাংবিধানিক দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে জেনেও রাজ্যে পঞ্চায়েত আইনে ৪২ নম্বর ধারা কেন রেখেছিল বামফ্রন্ট সরকার? বা ক্ষমতায় থাকতে থাকতে প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আদর্শ কি কোথাও গুলিয়ে গিয়েছিল?
এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে পুজোর বাজারে নাম নাকরেই সিপিএমকে বিদ্ধ করল শরিকেরা! রাজনীতির ময়দানের বাইরে এ বার পুজোসংখ্যার ময়দানেও সিপিএমকে কটাক্ষ হজম করতে হল শরিকদের কাছে!
আত্মসমালোচনা ও বড় শরিকের দিকে নিশানা করার কৌশলে সব চেয়ে আগে সিপিআই। দলের মুখপত্রের শারদীয় সংখ্যায় সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস দত্ত সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দলের সম্পদ সে দিন যেমন ছিলেন ‘তপন-সুকুর’, আজ সেখানে আছেন ‘অনুব্রত-আরাবুল’। মিল এতটাই! নীতি আর আদর্শগত অবস্থান যেখানে বিপরীত মেরুতে, সেখানে এমন মিল হয় কেমন করে? প্রশ্ন সেটাই’। এর পাশাপাশিই দেবাশিসবাবু বোঝাতে চেয়েছেন, এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল যা করেছে, ধরনের দিক থেকে তা মোটেও অভিনব নয়। আগে বামফ্রন্ট জমানাতেও যে সব ঘটনা ঘটত, তা-ই এখন বড় আকারে ঘটেছে। আবার মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করলে, তৃণমূল বরং এখনও বাম আমলকে ছাড়াতে পারেনি! আর এক শরিক আরএসপি-র নেতা বিপ্লব সিদ্ধান্ত আবার বেছে নিয়েছেন বাম ছাত্র ও যুবদের আদর্শগত বিভ্রান্তির প্রশ্নকে। দলের ছাত্র সংগঠন পিএসইউ-এর মুখপত্রের শারদ সংখ্যায় তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ক্ষমতায় এসে বামফ্রন্ট অপারেশন বর্গা এবং পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করলেও শেষ পর্যন্ত প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারেনি। বিপ্লববাবুর মতে, ‘সঙ্কট অব্যাহত। রাজ্যে পরিবর্তনের পরিসরে তা আরও গভীরতর আর্থ-সামাজিক ও রাজনীতিক ব্যঞ্জনায় অভিব্যক্ত’।
বিপুল সন্ত্রাসের আবহেও সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার অবশ্য জোর দিয়েছেন বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে তোলার উপরেই। শ্রেণি চেতনা ঠিক রেখে মানুষের জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। তবে অন্য শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের মুখপত্রের পুজোসংখ্যা সীমাবদ্ধ রেখেছে তাদের থিম ‘বৈষম্যের দেশ দুই ভারতে’র উপরেই।
|
রাজ্য সরকারের শারদ সম্মান |
এই প্রথম পুজোয় পুরস্কার চালু করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত। পুরস্কারের নাম হবে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’। কলকাতার ২০টি ও প্রতিটি জেলায় ১০টি করে পুজো এই পুরস্কার পাবে বলে স্থির হয়েছে। কলকাতার জন্য মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের নেতৃত্বে বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে একটি বাছাই কমিটিও তৈরি হয়েছে। জেলাগুলিতে একই ভাবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারেরা বিশিষ্টদের নিয়ে কমিটি গড়েছেন। পুরস্কার ঘোষণা হবে অষ্টমীতে। |
|
|
|
|
|