টুকরো খবর
দেবী প্রতিমার সঙ্গে পুজো করা হয় অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্রেরও
সাধারণত দেবদেবীর হাতে যে সব অস্ত্র দেখা যায়, সে সব অস্ত্রেরই পুজো করেন আদিবাসীরা। কিন্তু নিজেদের ধর্মীয় পুজোর পাশাপাশি এখন অনেকেই দেবী দুর্গার পুজো করেন। মহম্মদবাজারের হুচুক পাহাড়ি রামা চৌড়িয়া মেলা মাঠের দুর্গাপুজো তাদের একটি। এলাকার ২৫-৩০টি গ্রামের আদিবাসীরা মিলিত ভাবে এই পুজোর আয়োজন করছেন গত বছর থেকে। মহালয়ার দিন পুজো শুরু হয় ঠিকই, কিন্তু দেবদেবীর পরিবর্তে ওই দিন পুজো করা হয় মহিষাসুর, রাবণ, দানব ও সাঁওতালি সংস্কৃতিতে যে সব অপ দেবতা আছেন তাঁদের এবং সপ্তমীর দিন সকালে যে পুকুরে পুজোর ঘট ভরা হয়, সেই পুকুরে ঘট ভরার আগেও ওই দানবদের পুজো করা হয়। তার পর ঘট ভরে তীর, ধনুক, রাম-দা, বাঁশি, সিঁদুর, তেল ও কাজল সহযোগে আদিবাসী দাঁসাই নৃত্যের তালে তালে দেবীদুর্গাকে আহ্বান জানিয়ে পুজোর সূচনা হয়। পুজো করা হয় ওই সব অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্রেরও। নবমীর রাতে বলি দেওার রেওয়াজ আছে। এই দু’বছরই দেবী মূর্তি বাইরে থেকে আনা হয়েছে। তবে আগামী বছর থেকে অবিবাহিত আদিবাসী যুবকেরা নিজেরাই মূর্তি তৈরি করে পুজো দেবেন। পুজো কমিটির সম্পাদক খোকন মারান্ডি বলেন, “সপ্তমী থেকে একাদশী এই পাঁচ দিন ধরে পুজো মণ্ডপ চত্বরে আদিবাসীদের নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে এবং অষ্টমীর দিন খিচুড়ির ভোগ খাওয়ানো হবে।”

দুর্গা লকারেই
এ যাত্রা আর ব্যাঙ্কের লকার থেকে বেরোতে পারলেন না দেবী দুর্গা। লকারবন্দি হয়েই থাকছেন পুরুলিয়ার জয়পুর রাজবাড়ির কনকদুর্গা। ১০৮ সোনার মোহরে তৈরি ওই বিগ্রহ প্রতি বছর পুরুলিয়া শহরের একটি ব্যাঙ্কের লকার থেকে রাজবাড়ি নিয়ে এসে পুজো করা হয়। কয়েক মাস আগে রাজবাড়ির এক সদস্যার মৃত্যু হওয়ায় কালাশৌচের জন্যই পুরোহিত এ বার প্রতিমা আনতে নিষেধ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রশান্ত নারায়ণ সিংহদেও। তিনি বলেন, “বিগ্রহ আনা না গেলেও রীতি মেনে এ বারও দেবীর ঘট ও তরবারির পুজো করা হবে।” এত দিন প্রতি বছর ষষ্ঠীর দিনে পুলিশি প্রহরায় বিগ্রহটি নিয়ে আসা হত। পুজো শেষে বিগ্রহটি ফের ব্যাঙ্কে ফেরত পাঠানো হয়। এ বার মন্দিরে কনকদুর্গা না আসায় হতাশ জয়পুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “এখানকার সোনার প্রতিমা দর্শন করতে বাইরে থেকেও অনেকে আসেন। তাঁরা এ বার হতাশ হবেন।” প্রশান্তবাবু জানান, ১৯৬৮ সালে এই মূর্তিটি চুরি করতে এক দল ডাকাত হানা দিয়েছিল। কিন্তু ডাকাতরা মায়ের মূর্তিটি খুঁজে পায়নি। তবে পরের বছর থেকেই মূর্তিটি লকারে রাখা হচ্ছে।

জয়ী কালীপুর
গোবিন্দপ্রসাদ স্মৃতি শিল্ড জিতল কালীপুর আদিবাসী ফুটবল ক্লাব। তারা ১-০ গোলে রণবহাল তরুণ সঙ্ঘকে হারায়। সম্প্রতি বাঁকুড়ার উখড়াডিহি হাইস্কুল মাঠে ওই খেলাগুলি হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.