শহর লন্ডনে কয়েক টুকরো কলকাতা।
বুধবার থেকে লন্ডনের সাচি গ্যালারিতে শুরু হয়েছে তিন বাঙালি শিল্পীর প্রদর্শনী। সুমিত্র বসাক, শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায় এবং কিংশুক সরকার। কলকাতার ঘাট থেকে শুরু করে শহরের মেয়েরা, মন্দির, পুরোহিত, বিয়ের টুকরো টুকরো দৃশ্য তিন শিল্পীর ছবি দেখে মুগ্ধ লন্ডনবাসী।
বিশ্বভারতীর কলা ভবনের ছাত্র তিন জনেই। কিন্তু তাঁদের শিল্প বহুমুখী। যেমন, সুমিত্র বসাক। সমাজে মেয়েদের অবস্থান তাঁর প্রিয় বিষয়। বিবাহ, মৃত্যু, সব কিছুই ঠাঁই পায় তাঁর ক্যানভাসে। সুমিত্রর আঁকা ‘টিল ডেথ ডু আস পার্ট’ ছবিটি এই সব বিষয়েরই এক কোলাজ।
গ্রাম বাংলা এবং শহুরে জীবন মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায়ের ক্যানভাসে। কলা ভবন থেকে পাশ করে চলে যান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু রং-তুলিতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি শ্রেয়সী। সূচিশিল্প ও কাঁথা শিল্পও ব্যবহার করেছেন সমান দক্ষতায়। |
সুমিত্র বসাকের ‘টিল ডেথ ডু আস পার্ট’। |
কলা ভবন থেকে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় চলে গিয়েছিলেন কিংশুক সরকার। সেখানে শিখেছেন ক্যালিগ্রাফি ও জাপানি শিল্পকলা। কার্বন, অ্যাক্রিলিক, আঠার বহুল ব্যবহার তাঁর ছবিতে। ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায়, শিল্পের রূপ কী ভাবে বদলে যাচ্ছে সময়ের অভিঘাতে।
এই প্রদশর্নীর জন্য শিল্পী ও ছবি বাছার কাজটি করেছেন গ্রিসেল্ডা বিয়ার। বৃহস্পতিবার তিনি আনন্দবাজারকে জানান, লন্ডনে এই প্রদর্শনী করার আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে সিমা আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে এই তিন শিল্পীর কাজের সঙ্গে পরিচিত হন গ্রিসেল্ডা। তাঁর কথায়, “আমার লক্ষ্য ছিল সুমিত্র বসাক, শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায়, কিংশুক সরকারের অসাধারণ শিল্পকলা আন্তর্জাতিক দশকদের সামনে তুলে ধরা। এই শিল্পীদের কাজ বিশ্বের শিল্পপ্রেমীদের কাছে পৌঁছতে পেরে ভাল লাগছে।”
খুশি সিমা আর্ট গ্যালারির ডিরেক্টর রাখি সরকারও। তিনি বলেন, “আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার জন্য এটা সত্যিই একটা বড় সুযোগ। শিল্পীদের জন্য এটা তো খুবই আনন্দের দিন।” |