তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠেছে দলেরই এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদহের নওদা যদুপুরে ইসমাইল শেখ নামের ওই যুবককে খুন করা হয়। বালুচরা গ্রামের একটি পুকুরের পাশ থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনিও তৃণমূল কর্মী ছিলেন।
ইসমাইলের বাবা জাকির শেখ নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। প্রধান হন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের ভাই রাজু শেখের স্ত্রী। জাকির ও তাঁর অনুগামীরা সে সময় এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, সেই ঘটনার জেরেই ইসমাইলকে খুন করা হয়েছে। জাকির বলেন, “বকুল শেখের পরিবারের কাউকে প্রধান হিসেবে মানব না, সেটা বলেছিলাম। কিন্তু তারপরে জেলা সভাপতির নির্দেশেই রাজুর স্ত্রীকে প্রধান করা হয়।” তাঁর অভিযোগ, “আমাদের সেই বিরোধিতার জন্যই বকুল ও রাজু দু’জনকে পাঠিয়ে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।” পুলিশের কাছে তিনি বকুল ও রাজু শেখ-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে বকুল ও তাঁর পরিবারের কেউ যুক্ত নন বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাচন নিয়ে বকুল শেখের সঙ্গে জাকির শেখদের গোলমাল ছিল ঠিকই। তবে খুনের ঘটনার সঙ্গে বকুল ও তার ছেলেরা যুক্ত নন। ” বকুলও দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাচন নিয়ে দু-একজন সদস্য একমত হননি। সে জন্য খুনোখুনি হবে কেন? পুলিশ তদন্ত করে সত্যি বার করুক।”
খুনের ঘটনার জেরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিন ঘণ্টা কালিয়াচকের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তৃণমূল নেতা পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর কথায় অবরোধ ওঠে। তিনি বলেন, “খুনের ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। নির্দোষকে যেন হয়রান না-করা হয়। তবে যেখানে পুলিশ তদন্তে নেমেছে, সেখানে অবরোধ হবে কেন?” |