একদিকে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা, অন্য দিকে পুজোর বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশী টহলদারি বাড়ানো। এই নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলাপুলিশকে। পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানান, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা যেমন জোরদার আছে, তেমনি পুজোর সময় পুলিশী ব্যবস্থা জোরদার আছে। এ দিকে পুজোয় ঝামেলা এড়াতে রামপুরহাট শহরের ৬৪টি পুজো কমিটি একত্রিত হয়ে গত বারের মতো এবারও রামপুরহাট শহরদুর্গা পুজো সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ দত্ত জানান, শান্তিশৃঙ্খলা ও সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সমন্বয় কমিটি বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে অপরিচিত বা বহিরাগত বন্ধু বান্ধব পুজো প্যান্ডেলে কিংবা বির্সজনের শোভাযাত্রার সঙ্গে গেলে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, সমন্বয় কমিটি কোনও দায় নেবে না। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। রাত্রে পুজোমণ্ডপে পুজো কমিটিকে নিজ দায়িত্বে স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামপুরহাট শহরে ২০০৯ সালে দুর্গাপুজার বির্সজনের শোভাযাত্রায় নাচানাচিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই সময় সময় বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর তখন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ছিলেন। পুরবর্তীতে রামপুরহাট শহরে দুর্গামূর্তি ভাঙচুর এবং সম্প্রতি রামসীতার মূর্তি ভাঙচুর হয়। এসমস্ত কারণে, রামপুরহাট শহরে বিশেষ পুলিশি নজর দারি বাড়ানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় জানান, পুজো এবং ঈদ দুই উৎসবের জন্য পুলিশ এবং প্রশাসন সতর্ক আছে। |