চোখের সামনে ঠিক যেন হলিউডি সিনেমার দৃশ্যপট। বিমান যখন মাঝ আকাশে তখন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লেন পাইলট। খবর ছড়াতেই আতঙ্কে দিশাহারা অবস্থা। এমন সময় উদ্ধারকারীর ভূমিকায় এক যাত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাল ধরলেন তিনিই। অপটু হাতেই জরুরি অবতরণ করল বিমানটি।
মঙ্গলবার ভরসন্ধেয় এমনটাই ঘটল ল্যাঙ্কাশায়ারে। স্যান্ডটফট বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই আসনের এক্সিকিউটিভ বিমান ‘সেসনা’-র বিমানচালক।
বন্দরের চৌহদ্দি পেরিয়ে বিমান তখন মাঝ আকাশে। ককপিটেই শুয়ে পড়লেন বিমানচালক। অবস্থা বেগতিক দেখে বিমান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন যাত্রী জন। বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেই সে সময় সেসনায় সওয়ার ছিলেন তিনি। মাটিতে তখন এয়ার কন্ট্রোল অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অনবরত। তাঁদেরই নির্দেশ অনুসরণ করে বেশ কিছু পথ পাড়ি দিয়ে হামবারসাইড বিমানবন্দরে সেসনার জরুরি অবতরণ করালেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বিমানটি অবতরণের পর চালককে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সম্পূর্ণ আনকোরা হাতের নিয়ন্ত্রণে বিমান নামছে হামবারসাইডে - এই সতর্কবার্তা ততক্ষণে ছড়িয়ে গিয়েছে সর্বত্র। হামবারসাইড বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তাগুলি ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। জরুরি পরিষেবা যেমন দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনে ভোঁ ভোঁ করছে চারিদিক। আমস্টারডাম ও অ্যাবারডিন থেকে আসা দু’টি বিমানের অবতরণও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এয়ার কন্ট্রোল রুম থেকে।
রাত আটটা নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে এপাশ ওপাশ ধাক্কা খেতে খেতে সেসনা এসে নামল বিমানবন্দরে।
স্টুয়ার্ট বেয়ার্ড পরিচালিত ‘এক্সিকিউটিভ ডিসিশন’ ছবিটিতেও অনেকটা এ ভাবেই সম্পূর্ণ অপটু হাতে অপহৃত যাত্রীদের উদ্ধার করেছিলেন ছবির নায়ক। মঙ্গলবারের ঘটনা ফিরিয়ে দিচ্ছে সেই স্মৃতিই। |