দুর্গাপুজোর বিসর্জন চলাকালীন দুর্ঘটনা এড়াতে এবছরও ঘাট সহায়ক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে ওই কথা জানিয়েছেন। নির্বিঘ্নে বিসর্জন শেষ করতে পুরসভার তরফে গত এক দশক ধরে শহরের দুটি নদীঘাটে ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হচ্ছে। রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকায় বাড়ির পুজো ও সর্বজনীন মিলিয়ে ১৫০টি দুর্গাপুজো হয়। দশমীর দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খরমুজাঘাট ও বন্দর এলাকার কুলিক নদীঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছর দশমীতে খরমুজাঘাট ও বন্দর এলাকার কুলিক নদীঘাটে ৩০ জন করে ৬০ জন ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা দুপুর ১২ টা থেকে বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। সহায়কদের ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক, পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। উদ্যোক্তারা যাতে ঘাট সহায়কদের নজর এড়িয়ে প্রতিমা নিয়ে নদীতে নামতে না পারেন তার জন্য ঘাটের ১০০ মিটার আগে থেকেই সহায়করা উদ্যোক্তার থেকে প্রতিমা নিয়ে নেবেন।
|
বাবলু সরকার, প্রণব চট্টোপাধ্যায়, তাজেম সরকার, আকলু মিঁয়া, জাইরুল সরকার আয়োজনে ব্যস্ত। এতে দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন বারোয়ারি দুর্গোৎসব কমিটির দেবী আক্ষরিক অর্থে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। রাজা, জমিদার আমলের প্রতিষ্ঠিত পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের। কালের গতিতে বদল গিয়েছে সময়। জেলার এই প্রাচীন দুর্গাপুজো আজও নিষ্ঠাভরে দুই সম্প্রদায়ের সক্রিয় উদ্যোগে পালিত হচ্ছে। পুরনো ঐতিহ্যের ধারা বজায় রেখে আজও তিন দিন আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে পাত পেড়ে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার প্রচলন ধরে রেখেছে পুজো কমিটি।
|
জওয়ানের হাত থেকে রাইফেল কেড়ে, তাঁর উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার মথুরাপুর সীমান্তের ঘটনাটি ঘটেছে। হামলাকারীরা সকলেই চোরাচালানে যুক্ত। সোমবার রাতে সীমান্তে টহলদারির সময়ে সুভাষ গায়কোয়াড় নামে ওই জওয়ানের উপর হামলা চালানো হয়। মাথায় এবং ঘাড়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। জওয়ানের চিৎকার শুনে থেকে অন্য জওয়ানরা এসে শূন্যে গুলি চালালে দলটি পালিয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে ১১টি গরু আটক করা হয়েছে। গরুগুলিকে পাচার করার জন্যই জওয়ানের উপর হামলা চালানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিএসএফ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
|
মা-ছেলেকে কুপিয়ে, মারধরের অভিযোগে দুজনকে ধরতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ মালদহের মানিকচকের নাজিরপুরের খয়েরতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে ধৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় সংঘর্ষ। তাতে ২ পুলিশকর্মী ও ৩ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের চারটি গাড়ি ভেঙে দেয়। কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে দাবি। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গুলির খবর ঠিক নয়। যারা পুলিশের উপর হামলা করেছে তাদের ধরা হবে। অভিযুক্তকে তো গ্রামবাসীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।” নারী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “যারা পুলিশের উপর হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সুপারকে বলেছি।” |