চিড়িয়াখানার ছোট্ট ঘেরাটোপ ও কোলাহল থেকে দূরে সিঞ্চল অরণ্যে সরিয়ে নেওয়া হল তুষার চিতা ও রেড পান্ডার কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র। মঙ্গলবার দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি তোপকেদাড়া এলাকায় নতুন প্রজনন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ওই কেন্দ্রে ২ জোড়া করে তুষার চিতা ও রেড পান্ডা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে একজোড়া তুষার চিতাকে রাখা হয়েছে। উদ্বোধনের পরে বনমন্ত্রী বলেন, “দুটি কারণে প্রজনন কেন্দ্রটি সরানো হল। প্রথমত, তুষার চিতা ও রেড পান্ডার বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা চিড়িয়াখানায় নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি পরিবেশে ওই ধরনের কেন্দ্র থাকা উচিত। আগামী দিনে পরিকাঠামো উন্নত করা হবে।” |
দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় ১৯৮৬ সালে তুষার চিতার কৃত্রিম প্রজননের পরিকাঠামো তৈরি হয়। ৪ বছর পরে রেড পান্ডার কৃত্রিম প্রজনন চালু হয় চিড়িয়াখানায়। কয়েক বছর পর থেকেই জঙ্গলের গভীরে সেটিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে বন দফতর। সেন্ট্রাল জু অথরিটি ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় সিঞ্চলে ৫ হেক্টর জমি পান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিঙ চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর অলঙ্কার ঝা বলেন, “সেন্ট্রাল জু অথরিটি ৭৭ লক্ষ টাকা ও রাজ্য সরকার ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করায় ওই পরিকাঠামো তৈরি হয়। এই মুহূর্তে দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় ৫টি পুরুষ ও ৬টি স্ত্রী তুষার চিতা রয়েছে। ২টি স্ত্রী তুষার চিতা পোল্যান্ডের ওয়ারশের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মিলেছে। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে কয়েকটি তুষার চিতা আনার চেষ্টা করছেন দার্জিলিং চিড়িয়াখানার কর্তারা। চিড়িয়াখানা বর্তমানে রেড পান্ডার সংখ্যা ১৭টি। ১০টি পুরুষ, ৪টি স্ত্রী রেড পান্ডা রয়েছে। বাকিগুলি সদ্যোজাত। সেগুলির লিঙ্গ নির্ণয়ের কাজ এখনও হয়নি বলে চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর।
|
ফের গন্ডার চোরাশিকার
সংবাদসংস্থা • গুয়াহাটি |
ফের গন্ডারের চোরাশিকার হল কাজিরাঙায়। এ নিয়ে চলতি বছরে ২৪টি গন্ডারের হত্যা করা হল। কাজিরাঙার অধিকর্তা এন কে ভাসু বলেন, “অগরাতলি রেঞ্জের দেবেশ্বরী বন শিবিরের কাছে মঙ্গলবার গন্ডারটির দেহ দেখতে পাওয়া যায়। সেটির খড়্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল। পুরুষ গন্ডারটির দেহে গুলির ক্ষত ছিল।” মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের মতে, কাজিরাঙায় মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায়, উদ্যানের নিরাপত্তা ও পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। শুধুমাত্র পর্যটনের স্বার্থ দেখলেই চলবে না। কাজিরাঙার স্বকীয়তা ও প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা করাই বনবিভাগের বড় চ্যালেঞ্জ। গগৈ বলেন, “প্রয়োজনে আমরা চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে আরও কড়া আইন তৈরি করব। যদি আমরা সন্ত্রাস দমন করতে সফল হই, তবে চোরাশিকার দমনে কেন সফল হতে পারব না?” কার্বি আংলং-এর ডকমকায় গন্ডারের খড়্গ-সহ দুই শিকারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম হাফিজুর রহমান ও শঙ্কর গৌড়। |