একটি দুধের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল চালকের। মঙ্গলবার ভোরে বোলপুর থানার বোলপুর-পালিতপুর রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুবলচন্দ্র পালের (৪০) বাড়ি বাঁকুড়ায়। ওই ঘটনায় দুধের গাড়ির খালাসি সন্তোষ চন্দ্র গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি বর্তমানে বোলপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো সুবলবাবু বাঁকুড়া থেকে দুধের গাড়ি নিয়ে বোলপুর শহরে আসছিলেন। খালাসি সন্তোষ চন্দ্র বলেন, “ভোরের দিকে সামান্য চোখ লেগেছিল। হঠাত্ প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি আমাদের গাড়ি রাস্তার ধারে একটি গাছে ধাক্কা মেরে দুমড়ে গিয়েছে।” দুর্ঘটনায় সুবলবাবুর পেটে গাড়ির স্টিয়ারিং আটকে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাসিন্দারা খবর দিলে পুলিশ এসে জখমকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
|
প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মঙ্গলবার ভোরে নানুর থানার কীর্ণাহারের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নির্মল ঘোষ (৫৪)। আদতে বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা হলেও, পেশায় জমির দালাল নির্মলবাবু বছর দশেক ধরে কীর্ণাহারের মাস্টার পাড়ায় বসবাস করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে স্থানীয় স্টেশন পাড়ার একটি রাস্তার ধারে নির্মলবাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, নির্মলবাবুর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি, সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ একটি ফোন পেয়ে নির্মলবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৮টা নাগাদ স্ত্রীকে ফোন করে বাড়ি ফিরছি বলে জানান। কিন্তু রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
তেলের ট্যাঙ্কার উল্টে মৃত্যু হয়েছে চালকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ আসরাফ (২৪)। বাড়ি বীরভূমের জয়দেব-কেঁদুলি এলাকার রফিকচক গ্রামে। সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে নিতুড়িয়া থানা এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালকের। জখম হন ট্যাঙ্কারের খালাসি রাজু হাজরা। তাঁকে নিতুড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ট্যাঙ্কারে তেল না থাকায় অন্য কোনও বিপদ ঘটেনি। |