গ্রামেই মদের দোকান। তা নিয়ে ‘নেশা-বিরোধী’ গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিরোধটা বেশ পুরনো। সোমবার সেই বিবাদই ফের উস্কে উঠল মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর গ্রামে। যার জেরে মুড়ি-মুড়কির মতো ফাটলো বোমা। উঠল শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগও। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “মদ বিক্রি নিয়ে ওখানে অনেক দিন ধরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দোকানদারের বিরোধ। এ দিনও গোলমাল বাধে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে গুলি চলেছে। বোমাও পড়েছে। একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।” |
বাসুদেবপুর গ্রামের ওই মদের দোকানটি জগন্নাথ চৌধুরী নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। গ্রাম সূত্রে অবশ্য দাবি, সরকার বদলের আগে তিনি ছিলেন আরএসপি-র ‘মাথা’। গ্রামবাসীদের আন্দোলনের জেরে বছর দেড়েক আগে জগন্নাথবাবু দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে পুনরায় দোকান খুলেছে বটে কিন্তু গ্রামবাসীরা মদ-বিক্রি রুখতে গড়ে তুলেছেন ‘প্রতিরোধ কমিটি’। মাঝেমধ্যেই কমিটির লোকজনের সঙ্গে দোকান মালিকের ঝামেলা হয়। এ দিন ওই দোকান থেকে দু-বস্তা বোঝাই দিশি মদ মোটরবাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আপত্তি তা নিয়েই। গ্রামবাসীরা ওই দুই বাইক আরোহীর পথ আটকালে আকস্মিক প্রতিরোধের মুখে ওই দু-জন পিঠটান দিলেও পালানোর সময়ে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। গুলি লাগে গ্রামের স্কুলের দেওয়ালে। গোলাগুলির আওয়াজে পড়ুয়ারা ভয় পেয়ে এ দিক ও দিক ছুটতে থাকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামূল কবীর সিদ্দিকী বলেন, ‘‘যে ভাবে দেওয়ালে গুলি লেগেছে তাতে ছাত্ররা জখম হতে পারত। ঘটনার পর স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।” কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। গ্রামের লোকজন দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই এরপরে জগন্নাথবাবুর মদতপুষ্ট বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ফের স্কুলের সামনে এসে বোমাবাজিও করে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে বসে পুলিশি টহল। |