বোর্ড গঠন হয়নি, সমস্যায় পুরবাসী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
পুরবোর্ড এখনও গঠিত হয়নি। অসবর নিয়েছেন পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারও। প্রশাসকের দায়িত্বে মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর)। এই অবস্থায় বাসিন্দারা ন্যূনতম পুরপরিষেবাও ঠিক মতো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের একাংশ। তাঁরা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। তবে ওই কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশেরই মত, এ ভাবে চললে আগামী দিনে বড়সড় অচলাবস্থার মধ্যে পড়বে দুবরাজপুর পুরসভা। মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর) চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরীও বলেন, “বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি। কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমার ক্ষমতার মধ্যে থাকা বিষয়গুলি মেটাবার চেষ্টা করব।”
কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে?
কংগ্রেস কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন এবং এলাকার বিজেপি নেতা সত্যপ্রকাশ তিওয়ারি বলছেন, “এ বার যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে পুরসভায় বসবাসকারী গরীব মানুষদের বাড়িতে জল পড়লেও ত্রিপল দেওয়ার কেউ নেই। অথচ পুরসভায় প্রচুর ত্রিপল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া পুজোর মুখে পুর এলাকায় যে সব মণ্ডপ তৈরি হয়, তাদের আশপাশ পরিস্কার করে মোরাম বিছিয়ে দেওয়ার কাজটা কাউন্সিলরেরাই করে থাকেন। সেটাও করা হচ্ছে না।” তাঁদের আরও দাবি, নিকাশি নালা পরিষ্কার করা বা পুরওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর মুখে পথবাতির সমস্যা থাকলেও সেগুলি মেটাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকী, পুরসভার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শংসাপত্র বা আয়ের শংসাপত্রের মতো কাজ নিয়েও মানুষকে ঘুরতে হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। বোর্ড গঠন না হওয়াতেই যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর পীযূষ পাণ্ডেও। তিনি বলেন, “এগজিকিউটিভ অফিসার না থাকাতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ।”
শুধু পুরবাসীই নন, সমস্যায় পড়েছেন পুরকর্মীরাও। তাঁদের বোনাস হয়নি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুর নির্বাচনের ফল প্রকাশ হলেও এখনও দুবরাজপুর পুরসভার বোর্ড গঠন হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজোর ছুটি পরে জেলাশাসক বৈঠক ডেকে বোর্ড গঠন করতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ লেগে যাবে। ততদিন নির্বাচিত কাউন্সিলরেরা তাঁদের কাজে নামার সুযোগ না পাওয়ায় সমস্যা জারি থাকবে। চন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলছেন, “বোর্ড গঠন না হওয়া অবধি পুরকর্মীদের নির্দেশ দিয়েই যতটা সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।” |