জাতীয় সড়কের পাশে ঝোপঝাড়ে ভরা বেলডাঙার মহুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিত্সক ও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে ধুঁকছে। এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু চিকিত্সকের অভাবে লোকজন ন্যূনতম পরিষেবা অবধি পান না। |
মেলে না প্রয়োজনীয় পরিষেবা।—নিজস্ব চিত্র। |
ঝোপ জঙ্গল ঠেলে ভাঙা সাইনবোর্ড দেখে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রোগীদের ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। সামান্য অসুখ-বিসুখেই লোকজনকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বেলডাঙা বা বহরমপুরের হাসপাতালে যেতে হয়। দিন কয়েক আগে মহুলা গ্রামের বাসিন্দা রিম্পা মণ্ডল তাঁর অসুস্থ শ্বশুরকে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। এসে দেখেন হাসপাতালে কোনও অ্যালোপ্যাথ চিকিত্সক নেই। অগত্যা শ্বশুরকে নিয়ে ছুটতে হয়েছিল সদর শহর বহরমপুরে। রিম্পাদেবীর কথায়, “চড়া রোদে হাসপাতালে এসে চিকিত্সকের দেখা না পেয়ে তড়িঘড়ি বহরমপুর যেতে হল। এতে বাড়তি টাকাও লাগল। সময়ও নষ্ট হল।” মাস সাতেক অবশ্য এই সমস্যা ছিল না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই চিকিত্সকই নিয়মিত হাসপাতালে আসতেন। কিন্তু অ্যালোপ্যাথ চিকিত্সক উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতেই সমস্যার সূত্রপাত। মাস ছ’য়েক কেটে গেলেও এখনও নতুন চিকিত্সক ওই হাসপাতালে যোগ দেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা সাধারণত হোমিওপ্যাথ চিকিত্সা করাতে চান না। হাসপাতালের আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপটিও বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেটি সারানোরও কোনও নামগন্ধ নেই। মহুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে পরিষেবা না পাওয়ায় লোকজনকে বহরমপুর বা বেলডাঙায় যেতে হচ্ছে।” সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বেলডাঙা-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব দাস বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অ্যালোপ্যাথ চিকিত্সক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তীর বক্তব্য, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সক দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ কতদিন চলবে এই চেষ্টা? কোনও সদুত্তর মেলেনি।
|
চাঁদার টাকায় রোগীদের ফল-মিষ্টি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
চাঁদার অর্থ বাঁচিয়ে নবজাতকদের মায়েদের ফল, মিষ্টি কিনে দিল বসিরহাটের একটি পুজো কমিটি। রবিবার ওই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে ফল, মিষ্টি-সহ আরও অনেক উপহার নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের মা-শিশুদের উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বসিরহাটের নিষিদ্ধপল্লির মা-শিশুদের হাতেও নতুন পোষাক তুলে দেওয়া হয় পুজো কমিটির তরফে। পুজোর আগে এরকম উপহারে খুশি সকলে। অন্যদিকে, বসিরহাট কলেজপাড়ায় একটি সংগঠনের পক্ষ থেকেও শতাধিক শিশুর হাতেও তুলে দেওয়া হয় পুজোর পোষাক। |