খন্দে বিপত্তি, মৃত্যু দুর্ঘটনায়
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রাস্তায় গর্ত দেখে ডান দিকে সরে গিয়েছিলেন মোটরবাইকের চালক। তখনই ডান দিক দিয়ে যাওয়া একটি ম্যাটাডর ভ্যানে আটকে যায় বাইকের লুকিং গ্লাস। দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রেক কষেন মোটরসাইকেলের চালক। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাইকের পিছনে বসা তাঁর দুই সঙ্গী ছিটকে পড়ে সোজা ভ্যানের তলায়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শাকিল আলি জমাদার (১৯) নামে এক সঙ্গীর। বাঁ দিকে ছিটকে পড়ে আহত হলেও বেঁচে যান বাইকচালক সইফ রহমান। তিনি এবং তাঁর অন্য সঙ্গী এখন হাসপাতালে। তাঁদের কারও হেলমেট ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বেহালার জেমস লং সরণিতে। ভ্যানের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সারওয়ান কুমার রাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরো জেমস লং সরণিই খানাখন্দে ভর্তি। বারবার জানানো সত্ত্বেও পূর্ত দফতর ওই রাস্তা সারাচ্ছে না। এ দিন তেমনই একটি খন্দ থেকে বাঁচার জন্য বাইকটি ডান দিকে সরে গিয়েছিলে। তখনই ভ্যানের সঙ্গে বাইকের লুকিং গ্লাস আটকে যায়। পুজোর আগে রাস্তা সারাতে পুলিশও অনুরোধ করেছে। কিন্তু পূর্ত দফতর তাতে কর্ণপাত করছে না বলে পুলিশের একাংশের অভিযোগ।
|
ফের ফাঁকা বাড়িতে চুরি। শনিবার রাতে, দমদম এলাকার ছাতাকলে। ওই বাড়িতে থাকেন ওএনজিসি-র প্রাক্তন কর্মী রণজিৎকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (৮৫) ও তাঁর স্ত্রী শোভাদেবী। পুলিশ জানায়, বুধবার রণজিৎবাবুরা পার্ক সার্কাসে মেয়ের বাড়ি যান। রবিবার এক প্রতিবেশী চুরির খবর দিলে তাঁরা ফিরে দেখেন, কোল্যাপ্সিবল ভাঙা, দরজার পাল্লার কিছুটা কাটা। রণজিৎবাবু বলেন, “আলমারির চাবি ছিল তোষকের নীচে। চাবি নিয়ে আলমারি থেকে টাকা-গয়না নেয় চোরেরা। রুপোর মেডেল, পুজোর জামা, ঠাকুরঘরের গয়নাও নেয়।” শোভাদেবী বলেন, “আগেও বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে থেকেছি। কিছু হয়নি। এখন কোন ভরসায় থাকব?” এক বাসিন্দা জানান, কিছু বছর আগে ডাকাতির পরে পুলিশি টহলদারি বাড়ে। কিন্তু কয়েক মাস পর থেকেই যে-কে-সেই। তবে ব্যারাকপুরের ডিসি (ডিডি) দেবাশিস বেজ বলেন, “কমিশনারেট হওয়ার পরে চুরি-ছিনতাই কমেছে। দমদমের সব গলিতে জিপ ঢুকতে পারে না। তাই মোটরবাইকেও টহলদারি হয়। এই চুরির তদন্ত চলছে।” |