আগের ইনিংসে ২৮৫ নট আউট থাকলে, পরের ইনিংসের আগে ব্যাটসম্যানের মনের অবস্থাটা কী রকম থাকে বুঝতে পারছেন তো এ বার?
হা হা হা হা। হ্যাঁ, বেশ বুঝতে পারছি। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের আগে সত্যি একটা সুবিধে ছিল। অজ্ঞাতকুলশীল ছিলাম। কেউ চিনত না। কিন্তু ‘আশ্চর্য প্রদীপ’য়ের আগে একটা প্রেশার থাকবে। সেটাই ন্যাচারাল।

প্রেশারটা তো নিজেকেই হ্যান্ডল করতে হবে। কোনও ভূত তো সাহায্য করবে না ...
না, তা করবে না। ওটা নিজেকেই হ্যান্ডল করতে হয়। কিন্তু কী বলুন তো, আমার সেই রকম জ্ঞানগম্যি নেই, তাই আমি বুঝতে পারছি না, কী এমন করেছি আমি যে লোকে এত প্রেশার -প্রেশার করছে। সচিন -সৌরভরা ডে - ইন ডে -আউট একটা প্রেশার হ্যান্ডল করে, কারণ তাদের অ্যাচিভমেন্টটা সেই লেভেলের। সেখানে আমাদের অ্যাচিভমেন্ট তো লিলিপুটের মতো। আর একটা ব্যাপার, অনেকটা জীবন তো দেখা হয়ে গেল, তাই প্রেশারটা হ্যান্ডল করতেও একটুআধটু শিখে গিয়েছি। বয়সটা কম হলে হয়তো অসুবিধা হলেও হতে পারত।

তা হলে ...
দেখুন, আমি সবচেয়ে বেশি প্রেশার আর প্রত্যাশা নিজের ওপর চাপাই। সেটা মেটাতেই অধিকাংশ সময় ব্যর্থ হই। কিন্তু মজার ব্যাপার যেটা হয়, ওই প্রেশারটা নিজের ওপর থাকার দরুন আমার কাজটা মোটামুটি পাশ নম্বরের একটু বেশি নম্বর পেয়ে যায়। এই প্রেশার নিজের ওপর না রাখলে আমি কাজ করতে পারতাম না।

এই একটু আগেই বিনয় করে বললেন, ‘আমার সেই রকম জ্ঞানগম্যি নেই’ এটা কিন্তু ফেক মনে হল।
না না, একেবারে ফেক নয়। আমি মোটেই বিনয়ী নই। আমি খুব ভাল করে জানি আমার লিমিটেশনস। এবং সেটাই আমার স্ট্রেংথ। আগে তো আমি আরও অ্যারোগ্যান্ট আর অ্যাগ্রেসিভ ছিলাম। সেটার আর একটা কারণ, আমি ইনট্রোভার্ট। আর তা ছাড়া যাঁরা আমায় চেনেন, তাঁরা জানেন আমি অত্যন্ত লেড ব্যাক। ভীষণ ভীষণ অলস।

লোকে তো তা বলে না। আপনার অভিনেতারাই তো আপনার নাম দিয়েছে প্যানিক দত্ত। সেটে নাকি আপনি সব সময় প্যানিক করেন, রেগে যান?
এটা তিলকে তাল করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়তো নয়, কিন্তু অতিরঞ্জিত তো বটেই। এখানে তা হলে সত্যজিৎ রায়ের একটা উদ্ধৃতির কথা বলতে হয়। উনি বলেছিলেন, “মেকিং আ ফিল্ম ইজ লাইক গোয়িং টু ওয়ার।” ফিল্ম বানানো যুদ্ধে যাওয়ার মতো একটা ঘটনা। এ ছাড়াও বলেছিলেন, “দ্য ওয়ার্ড ‘অ্যাকশন’ হ্যাজ এ রিং অব অ্যান আর্মি জেনারেল কম্যান্ডিং হিজ ট্রুপস।” এই রকম কথার পাশাপাশি আমি প্রায়ই শুনি, কিছু পরিচালক বলছেন “আমরা ভীষণ মজা করে পিকনিকের মতো শু্যটিং করলাম। চুটিয়ে আনন্দ হল।” এঁদের আমি নাম করতে চাই না। কিন্তু এইটুকুই বলতে পারি, যে -পরিমাণ আনন্দ ওঁরা শু্যটিংয়ের সময় করেন, সেই পরিমাণ আনন্দ কিন্তু দর্শক হলে গিয়ে সেই ছবিগুলো থেকে পান না।

‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের পর নাকি প্রযোজকেরাআপনার কাছে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে এসেছিলেন?
ব্ল্যাঙ্ক চেক ছাড়াও ওঁরা বলেছিলেন যে -কোনও বাজেটে ছবি করতেও তাঁদের আপত্তি নেই। তখন অবশ্য বুঝিনি আমাকে যে -টাকা বলা হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি বাজেটের ছবি ইন্ডাস্ট্রিতে হয়েছে।

ও রকম একটা সাফল্যের পর একেবারে অন্য একটা পথে হাঁটলেন না কেন? লাভ স্টোরিও বানাতে পারতেন।
দেখুন, আমি যে -কোনও বিষয় বেছে নিতে পারতাম। একটা সময় ভেবেছিলাম ডায়ামেট্রিক্যালি বিপরীত একটা ঘরানার ছবি বানাব। আমার কাছে একটা থ্রিলারের স্ক্রিপ্ট ছিল। আর তা ছাড়া, আজকাল ওই বলে না, একটা ‘রিলেশনশিপ’ স্টোরিও ছিল। যদিও রিলেশনশিপ স্টোরি কথাটার মানে আজও বুঝিনি। গরু -ছাগলকে নিয়ে স্টোরি করলেও তো সেটা রিলেশনশিপ স্টোরি। ও সব না। আমি একটা লাভ স্টোরি বানাব ভেবেছিলাম। কিন্তু ‘আশ্চর্য প্রদীপ’য়ের স্ক্রিপ্টটা অ্যাপিলড টু মি দ্য মোস্ট। তাই এটাই বানালাম।
এটাও কি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের মতো কমেডি?
হ্যা। হিউমার আছে যা দেখে দর্শকেরা মজা পাবেন। আবার তা হলে বলতেই হয়, আমার এত পড়াশোনা নেই। কিন্তু আমার বন্ধুরা যারা পড়াশোনা করেছে, তারা আমায় মজা করে বলেছিল ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ শুধু কমেডি নয়,ওটা হচ্ছে ‘ঘোস্ট মডার্নিস্ট স্যাটায়ার’ (হাসি)।

এটাতে কি ভূত রয়েছে?
না। এটাতে ভূত নেই। জিন আছে। মানে দৈত্য।

লোকে বলবে না তো, ভূত কি দৈত্য ছাড়া অনীক দত্তের ভবিষ্যৎ নেই?
হা হা হা, বলতেই পারে লোকে। পরখ করে দেখতে হবে তাঁদেরওআমার ভবিষ্যৎ কীসের ওপর দাঁড়িয়ে। হয়তো বলবে ভূত আর দৈত্য করল, পরেরটা নিশ্চয়ই রাক্ষস নিয়ে করবে। তবে কিনা ‘আশ্চর্য প্রদীপ’য়ের হিউমার ও ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ ছবির হিউমারের তফাত আছে।
আমাকে অনেকে বলেছিলেন ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ে বড্ড বেশি পাঞ্চলাইন ছিল। মানে আগেরটা থেকে রিকভার করতে না করতেই নেক্সট পাঞ্চলাইন এসে যাচ্ছিল। এটা বহু মানুষের ভালও লেগেছিল। লোকেরা জোকগুলো বুঝতে পারেনি বলে দ্বিতীয় বারও ছবিটা দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘আশ্চর্য প্রদীপ’য়ে আমি পাঞ্চলাইনগুলো একটু স্পেস আউট করেছি।

আচ্ছা অনেকেই বলেন, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের পর আপনি নাকি অনেক বদলে গিয়েছেন। অনেক দাম্ভিক অনেক অ্যারোগ্যান্ট ...
(হেসে ) যাঁরা এমন কথা বলেছেন তাঁরা বুঝি আমাকে আগে থেকে চিনতেন? চিনতেন না তো। তা হলে এই রকম বললেন কী যুক্তিতে?

অনেক পরিচালক আছেন, যাঁরা মনে করছেন তাঁদের প্রতি আপনার ব্যবহার বদলে গিয়েছিল ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের পর।
তাঁদের যদি খারাপ লেগে থাকে, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা আমার মুখের ওপর কিছু বলেননি। এইটুকুই বলব, আমি কিন্তু ইচ্ছে করে কাউকে আঘাত দিইনি। আমি ভীষণ চাঁচাছোলা কথা বলি। পলিটিক্যালি কারেক্ট কথা বলতে পারি না। আর সব সময় হাত কচলে কি সবার সঙ্গে মেশা যায়?

টলিউডে অনেকে বলে পঞ্চাশ বছর বয়সে সাফল্য পাওয়ার পরেই নাকি আপনার মাথা ঘুরে গিয়েছে।
দেখুন, এই রকম একটা ধারণা ইচ্ছে করে প্রচার করা হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। আমি ঠিক অত ভেবে চলি না। ভেবে চললে পঞ্চাশ বছর বয়স অবধি নিজের ছবির জন্য অপেক্ষা করতাম না। আমি খুবই ভাল ছিলাম বিজ্ঞাপনের জগতে। ওখানে কাজ করে খুব বেশি টাকা না কামালেও আমার চলে যেত। কিছুতেই বুঝতে পারিনি এত লোকের আমার সম্বন্ধে এত মিসকনসেপশন তৈরি হবে।

কিন্তু ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের পর আপনি নানা ছবি নিয়ে নানা মন্তব্য করেছিলেন।
মানে?

মানে, বলেছিলেন ঋ তুপর্ণ ঘোষ ‘রেনকোট’-এর পর নাকি সিকোয়েল করবেন যার টাইটেল হবে ‘গামবুট’। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘অন্তহীন’-এর জাতীয় পুরস্কার পাওয়াকে বলেছিলেন ‘অর্থহীন’ ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।
দেখুন, এগুলো কিন্তু একেবারে স্পুফ ছিল। আমি ইচ্ছে করে হার্ট করব বলে করিনি।

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর কি এই স্পুফের টাইটেল শুনে খুশি হওয়ার কারণ আছে? না বোধহয়।
টোনি আমাকে কিছু বলেনি। কিন্তু যদি ও দুঃখ পেয়ে থাকে, আমি ‘স্যরি’ বলছি ওকে। তবে এই স্পুফের নামটা টোনির ছবির স্ক্রিপ্টরাইটার ও বন্ধু শ্যামল সেনগুপ্ত আমাকে বলেছিল। এটা শ্যামলদার কয়েন করা ফ্রেজ। তবে এ সব স্পুফ দেখে সৃজিত আমাকে বলেছিল, অনীকদা, তোমার ওপর লোক এ বার হেব্বি রেগে তুকতাক করবে। (হাসি )

অঞ্জন দত্তর ‘ম্যাডলি বাঙালি’কে ‘ব্যাডলি বাঙালি’ বলেছিলেন। নিজের ছবি নিয়ে স্পুফ করেন না তো?
‘আশ্চর্য প্রদীপ’-এই করেছিলাম। কিন্তু স্যাডলি সেই পুরো সিকোয়েন্সটাই ফেলে দিতে হল।
এই হল অনীকের নতুন ছবি
তা হলে আর লাভ কী হল। কী স্পুফ করেছিলেন?
এই ছবির প্রধান চরিত্র শাশ্বতর সঙ্গে একটা পার্টির সিকোয়েন্সে আমার দেখা হওয়ার সিন ছিল। সেখানে শাশ্বত যারা ডায়াবেটিস রুগিবারেবারে বাথরুম যায়, তাদের নিয়ে একটা সিনেমা করতে বলছে আমাকে। টাইটেলে ও বলে দিচ্ছে, ‘মুতের ভবিষ্যৎ’। কিন্তু পুরো সিকোয়েন্সটাই রাখতে পারলাম না ছবিতে বিকজ ইট ওয়াজন্ট ওয়ার্কিং। আমার সত্যি নিজের ওপর হাসতে কোনও আপত্তি নেই।

আপনি জানেন ঋ তুপর্ণ ঘোষ ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ সম্বন্ধে কী বলেছিলেন?
কী?

উনি বলেছিলেন ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এ অনীক একসঙ্গে ৬ -৭টা ‘মীরাক্কেল’- এপিসোড ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আমি ওঁর অবজার্ভেশন মাথা পেতে নিচ্ছি। উনি ছাড়াও আমার এক বন্ধু বলেছিলেন, ‘ইট ইজ অ্যান অ্যান্থলজি অব গ্যাগস’। আমি কিন্তু এই ক্রিটিসিজমগুলো হাসিমুখে অ্যাকসেপ্ট করছি।

আগের ছবিতে কদলীবালার চরিত্রে স্বস্তিকা ওয়াজ ব্রিলিয়ান্ট। এই ছবিতে ওঁকে বা পরমব্রতকে কাস্ট করার কথা ভাবেননি?
না, এই স্ক্রিপ্টে ওরা ফিট করত না।

নভেম্বর মাসে তো রিলিজ?
হ্যাঁ, আমাকে প্রোডিউসার ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিউনিকেশনস সেই রকমই জানিয়েছে।

আচ্ছা, শাশ্বতর নাকি এই ছবি করার সময় আপনার সঙ্গে বিরাট অশান্তি হয়েছিল?
একেবারেই নয়। শাশ্বত রোজ টাইমে সেটে আসত। হি ওয়াজ ফুললি প্রিপেয়ার্ড। খুব মজা করত সেটে। আমাকে নকল করত, আমার স্ত্রীকে মিমিক করত। শুধু একদিনই আমি একটা সিন বদলেছিলাম, তাতে ও আমার অ্যাসিস্ট্যান্টদের বলেছিল সিনটা যে চেঞ্জ হল, সেটা ওকে কেন আগে জানানো হয়নি। আমার মনে হয় এই জিজ্ঞাসা করাটা অন্যায় নয়। আমি গিয়ে ওকে বোঝাতেই অবশ্য ও বুঝেছিল ব্যাপারটা।

আপনি যখন আপনার স্ত্রীর প্রসঙ্গ তুললেন, তখন কয়েকটা প্রশ্ন করতেই হয়। লোকে বলে অনীক দত্তর সেটে ওঁর স্ত্রীর কথাই শেষ কথা।
না, একেবারেই নয়। বাট ইয়েস, আই রেসপেক্ট হার জাজমেন্ট। ও আমাকে সব সময় সত্যি কথাটাই বলবে। ও কোনও দিনও পলিটিক্যালি কারেক্ট কথা বা মানুষের মন জুগিয়ে কথা বলার মানুষ নয়।

আচ্ছা, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’য়ের হিন্দি হচ্ছে সেটা জানেন তো?
হ্যাঁ, জানি। কী একটা বোকা বোকা নাম দিয়েছে। ‘গ্যাং অব ঘোস্টস’।

আপনি হলে কী নাম দিতেন?
আমি হলে দিতাম ‘ঘোস্ট ঘোস্ট না রহা’। তবে ওরা দিয়েছে, ওদের ব্যাপার। আমাকে তো কেউ জিজ্ঞেস করেনি। ওটা প্রোডিউসরদের ব্যাপার। আমার পারমিশন ছাড়াই ওরা রাইটস বেচে দিয়েছে। আমি চাইলেই কোর্ট -কাছারি করতে পারতাম।

সেটা তো আপনি এখনও করতে পারেন। মরাল অ্যান্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস তো আপনার?
হ্যাঁ, কোর্ট -কাছারি করাটা একটা অপশন তো বটেই। আসলে প্রথমে ওঁরা বলেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ করবে। তার পর বললেন ওঁরা আমির খানকে দেখাবেন । ওঁরা যদি ছবিটা করতেন, ভাল হত।

আপনি কথা বললেন না আপনার প্রোডিউসর জয় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে?
না, ওঁরা কথা বলার আগেই ডিসিশন নিয়ে নিয়েছিলেন। এমনকী আমাকে জোর করে বলা হয়েছিল একটা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে। এটা বোঝাতে যে, আমার আপত্তি নেই হিন্দিতে এই ছবির রাইটস বিক্রি করা নিয়ে। আমি সাইন করিনি। সেই কারণে আই পেড হেভি প্রাইস। ওঁরা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডে ছবিটা পাঠালেন না, কোনও ফেস্টিভ্যালেও নয়। সেটাও আমি জানলাম একটা চেন মেল -এ। ডাটাবাজার মিডিয়ার অনি শীলের সঙ্গেও প্রোডিউসরদের ঝামেলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত একটা চেন মেল -এ জানলাম, ওঁরা কোনও ফেস্টিভ্যালে ছবিটাকে পাঠাবেন না ঠিক করেছেন।

শুধু আপনি এনওসি দেননি বলে এটা হল?
আমার বিশ্বাস সে জন্যই করল এটা।

এ সব দেখে মনে হয় না, ভূতেদের পৃথিবী অনেক ভাল?
হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই ভূতের পৃথিবী অনেক বেটার। মনুষ্য সমাজ বড্ড জটিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.