ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিল বলে এক কিশোরীর মৃত্যুর শংসাপত্র না দিতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ বার ওই কিশোরীর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিবারের লোকেরা। শনিবার মৃতার পরিবারের তরফে ওই অভিযোগ তোলা হয়, চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না দেখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকেরা শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী রিঙ্কি মহন্ত (৮)-কে অচেতন অবস্থায় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস জানান, ঠিক কী হয়েছে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বিষয়টি বলতে পারবেন। তবে অভিযোগ ওঠায় আমরাও তা জানতে চাইব।”
পরিজনদের অভিযোগ, “ভর্তির পর থেকেই নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ বলতে থাকেন ওকে বাঁচানো যাবে না। তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধ করে দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নার্সদের যত্ন নিতে বললে কয়েকজন জানায় রিঙ্কি মরে গিয়েছে। কয়েক ঘন্টা পরে এসে শংসাপত্র নিয়ে যান। এ সব দেখে মেয়েকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাই।” তাঁর অভিযোগ, “ওই নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের অবহেলাতেই মেয়েকে হারাতে হল। ৮ হাজার টাকার ওষুধ কিনে দেওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি।” এদিন মৃতার বাড়িতে যান প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি সে ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত।” মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তর অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজে কোন চিকিৎসা হয়নি বলে শিুনেছি। স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না।”
|
স্বাস্থ্য সচেতনতায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শহরে পথবাসী মহিলাদের জন্য নৈশাবাস নির্মাণের আবেদন জানাল পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংস্থা। শুক্রবার এই সংস্থার পক্ষ থেকে ৩৯তম স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবিরের উদ্বোধন করেন সংস্থার চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক সুবীরকুমার দত্ত। শিবিরে ক্যানসার, ডাইবেটিস, হৃদ্রোগ, থাইরয়েড-সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অলোক দাশগুপ্ত বলেন, “রাস্তায় যে সমস্ত মহিলারা থাকেন তাঁদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য শহরে অনেক নৈশাবাস প্রয়োজন। রাজ্য সরকার থেকে কিছু সাহায্য করা হয়েছে ঠিকই। তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।” |