অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হল বহরমপুর পুরসভার দুই কর্মীকে। শুক্রবার রাতে বহরমপুরের ফরাসডাঙা এলাকা থেকে অরুণ নিয়োগী ও প্রভাত চট্টোপাধ্যায় নামে ওই দুই পুরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেফতার হয়েছে মিঠুন হালদার নামে এক যুবকও।
শনিবার ধৃতদের বহরমপুর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, চারটে ম্যাগাজিন এবং ৭.৬২ বোরের দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের চারটে মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে থাকা খোকন শর্মার নির্দেশেই মিঠুন হালদার নামে ওই যুবক ওই পিস্তল দু’টি কিনেছিল। খরচ পড়েছিল ৫৪ হাজার টাকা। জেরায় মিঠুন জানিয়েছে, ওই টাকা লোক মারফত তার কাছে পাঠিয়েছিল পুরকর্মী অরুণ নিয়োগী। মিঠুনের কাছ থেকে অস্ত্র দু’টি নিয়ে অরুণ তা রাখতে দিয়েছিল প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শনিবার রাতে তারা তিন জনেই ওই দুটি পিস্তল নিয়ে ফরাসডাঙায় গিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখান থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।” ধৃতদের জেরা করে বেশ কিছু ‘অজানা’ তথ্যও মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। এ ব্যাপারে বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “পুরসভার দু’জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। তবে, আইন আইনের পথেই চলবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বহরমপুর সংশোধনাগারে তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সুপার অরিন্দম সরকার বলেন, “জেলে তল্লাশি চালানোর সময়ে বিচারাধীন বন্দিদের কাছ থেকে ১৫টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। আমরা তা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।” কিন্তু জেলের ভিতরে মোবাইল গেল কী করে? অরিন্দমবাবুর দাবি, “বাইরে থেকে মোবাইল ছুঁড়ে জেলের ভেতরে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।” বিচারাধীন বন্দি খোকন শর্মাকে ওই ঘটনার পরেই বহরমপুর থেকে কৃষ্ণনগর জেলা সংশোধনাগারের পাঠানো হয়েছে। |