কৃষির উন্নয়নে যথাযথ ভাবে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পড়ুয়া এবং গবেষকদের আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল তথা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এম কে নারায়ণন। শুক্রবার কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন বলেন, “ছাত্র-ছাত্রী থেকে গবেষক যারা ডিগ্রি পেলেন তারা কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন। কৃষির উন্নয়নে তাঁদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা যাতে সর্বভারতীয়স্তরের পরীক্ষায় আরও বেশি সাফল্য পায় সেটাও দেখা দরকার।” এ দিন রাজ্যপাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও উদ্যানপালন বিষয়ক গবেষণার মানের প্রশংসাও করেছেন। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধিকর্তা এস আয়াপ্পন ও বিধানচন্দ্র কৃষি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডলকে এ দিনের অনুষ্টানে সান্মানিক ডিএসসি ডিগ্রি তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণায় সফল ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। স্নাতকস্তরের ১৬০ জন, স্নাতকোত্তর স্তরের ৫৩ জনকেও ওই অনুষ্ঠানে ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগে কৃতিত্বের জন্য ১৯ জন ছাত্রছাত্রীকে স্বর্ণপদক তুলে দেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। |
এ দিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডিএসসি ডিগ্রি প্রাপ্ত ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান গবেষণা পরিষদের অধিকর্তা এস আয়াপ্পন বলেন, “গ্রাম ঘুরে কৃষি উন্নয়নে সামিল হতে হবে। দেশের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ যুবক, তাঁদেরও কৃষি কাজে সামিল করা প্রয়োজন।” সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কৃষি উন্নয়নে সবরকম চেষ্টা করছে। তপনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় কৃষি কলেজ করা হচ্ছে। গবেষক এবং পড়ুয়াদের কাজে রাজ্য সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করছি।”
রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরিকাঠামোর খামতি ও শিক্ষক সংখ্যার অপ্রতুলতা থাকলেও জাতীয়স্তরে ছাত্র ছাত্রীদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।” রাতে সার্কিট হাউসে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দে ভৌমিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালকে কোচবিহার বি টি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। কলেজে ভাঙচুরের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ক্লিপিংসও রাজ্যপালকে দেখানো হয়। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায় বলেন, “রাজ্যপাল পুরো বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। ল্যাপটপে ভাঙচুরের ঘটনার ক্লিপিংস দেখেছেন। উনি ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।” |