|
|
|
|
টুকরো খবর |
মহালয়ায় অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • চিত্তরঞ্জন |
মহালয়া উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ পাঠচক্রের উদ্যোগে শুক্রবার নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। ৪০০ জন দুঃস্থ মানুষকে পুজোর নতুন বস্ত্র দেওয়া হয়। ছিলেন রাঁচির মোরাদা রামকৃষ্ণ আশ্রমের শশাঙ্কনন্দ মহারাজ। এ দিন আসানসোলের দক্ষিণ ধাদকায় প্রয়াস কালচারাল ফোরামের অনুষ্ঠানে খুদে ও বড় শিল্পীরা নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
|
তৃণমূল যাবে চিদম্বরমের কাছে |
দিল্লির আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে প্রতিবাদ জানাতে পুজোর পরে দিল্লি যাবেন তৃণমূল সাংসদরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁরা দিল্লি গিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন বলে গত সোমবারই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় ঘোষণা করেছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় শুক্রবার জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর তাঁদের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। আর্থিক বঞ্চনা-সহ বাম সরকারের আমলের ঋণের বোঝা নিয়ে সমস্যা কেন্দ্র কেন মেটাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে চিদম্বরমকে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর রঘুরাম রাজনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নকে বিহার, ওড়িশার চেয়ে কম দেখানোর বিষয়েও চিদম্বরমের কাছে তাঁরা প্রতিবাদ জানাবেন বলে মুকুলবাবু এ দিন জানিয়েছেন। দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মুকুলবাবুর নেতৃত্বেই তৃণমূল সাংসদরা চিদম্বরমের কাছে যাবেন। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সমস্যা না মেটালে তিনি নিজে দিল্লি গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “মুকুলবাবুরা চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করার পরেও সমস্যার সুরাহা না হলে তৃণমূল নেত্রী দিল্লি যাবেন।” যদিও দিল্লির বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগকে ‘মিথ’ আখ্যা দিয়ে দলীয় মুখপত্রের শারদ সংকলনে তথ্য পেশ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। তাঁর মতে, রাজ্যের বাস্তব অবস্থান বিচার না করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অকারণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন। রাজ্যে এখন যতটুকু নতুন রাস্তা, উড়াল পুল হচ্ছে বা জেএনএনইউআরএম-এর বাস চলছে, সবই হচ্ছে কেন্দ্রের টাকায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বিধান ভবনে এ দিন ওই শারদ সংকলন প্রকাশ করেন। এ দিন মমতাও দলীয় মুখপত্রের শারদ সংকলন প্রকাশ করেন। ওই অনুষ্ঠানে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম এবং নেতাইয়ের শহিদ পরিবারের সদস্যদের নতুন জামা ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
|
আর জল ছাড়বেন না, ফোনে আর্জি মন্ত্রীর |
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এখন ছত্তীসগঢ়ের উপরে রয়েছে। তার জেরে ওই রাজ্যে তো বটেই, লাগোয়া মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডেও প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টির জল নামছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এমনিতেই গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে অমাবস্যার ভরা কোটাল শুরু। এর মধ্যে গালুডি, ডিভিসি ও কংসাবতী জলাধার থেকে আবার জল ছাড়া হলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ডিভিসি থেকে ৫০ হাজার কিউসেক, গালুডি থেকে পৌনে দু’লক্ষ এবং কংসাবতী থেকে ১৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। শুক্রবার মহাকরণে বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশার সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি। কথা হয়েছে ডিভিসি-কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। সেচমন্ত্রী বলেন, “বৃষ্টিতেই যা অবস্থা, তার উপরে কোনও জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। তাই গালুডি, ডিভিসি ও কংসাবতী জলাধার থেকে যাতে এখনই জল ছাড়া না-হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|