|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
ব্যঙ্গপ্রবণ ধারাটি আর নাই |
বইপোকা |
চরিত্র বদলাইয়াছে। তাহাতে কিঞ্চিৎ দুঃখবোধ হয় বটে। কিন্তু সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত সেই ‘শনিবারের চিঠি’ পুনর্বার নিয়মিত প্রকাশিত হইতেছে (সম্পা: সাগর মিত্র) ইহা বিশেষ আনন্দের। এই বৎসরের শারদ সংখ্যাটি তাহার মূলগত চরিত্রে সেই একান্ত ব্যঙ্গপ্রবণ ধারাটি ধরিয়া রাখে নাই। এ কালে তাহার প্রয়োজনও আছে বলিয়া বোধ হয় না। তির্যক ব্যঙ্গ (অনেক সময় যাহা রুচির সীমাও পার হইয়া যাইত) একটি প্রহরণ বটে, কিন্তু তাহাপেক্ষাও শক্তিশালী স্বাভাবিক সুবিবেচনা। তাই পুনঃপ্রকাশে এই চরিত্রবদল স্বাগত। আর পাঁচটি পূজাসংখ্যার ন্যায় ইহাতেও প্রবন্ধ, বিশেষ রচনা, ছোটগল্প, উপন্যাস, বিজ্ঞান, স্মরণ সকলই আছে। স্মৃতি জাগাইয়া কার্টুন বিষয়ে দুইটি রচনা এবং বেশ কয়েকটি কার্টুন প্রকাশিত হইয়াছে। ব্যঙ্গ-চিত্রী রেবতীভূষণকে লইয়া রচনাটি উল্লেখ করিবার মতো। ও দিকে ভ্রমণসাহিত্যের বঙ্গভাষা ক্রমেই এক আবিল আবেগে তলাইয়া যাইতেছে। ‘যারা পরিযায়ী’র (ঋতি প্রকাশন) একটি রচনায় পড়ি: ‘প্রশান্তির সকালে হালকা হিমের আমেজ এই ভরা গ্রীষ্মে। গাছের ডালে বসে গিরগিটি সদর্থক মাথা নাড়ে তাতে। মধুচোর ভ্রমর ফুলে, ফুলে, ঢলে ঢলে।’ ‘বিপুল নীরবতার আশ্লেষে রাতশকট খান খান করে বনসড়ক’। বাংলা গদ্যের কব্জিটি আমাদিগের শক্ত হয় নাই, অথচ কবিত্বের শখটি পুরামাত্রায় চাগাইয়া উঠিয়াছে! |
|
|
|
|
|