গোটা রাজ্যে দলের কাছে ‘মডেল’ হতে চায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম। পুজোর পরে তীব্র আন্দোলনের জঙ্গি পথে যাওয়ার প্রথম পরিকল্পনা ছকে ফেলল তারাই। দু’দিনের বর্ধিত জেলা কমিটির বৈঠকে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব ইঙ্গিত দিয়েছেন, আড়াই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের যুক্তিহীন কাজকর্মকে আর রেয়াত করা হবে না। জনগণের করের টাকা রাজ্য সরকার যে ভাবে খেয়ালখুশি মতো খরচ করছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে। বর্ধিত জেলা কমিটিতে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সুর চড়ানোর প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবেই নভেম্বরে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে নতুন মহাকরণ ‘নবান্ন’ অভিযান হবে। আবার জেলা জুড়ে অন্তত ৪০টা জনসভা করা হবে রাজ্য নেতৃত্বকে সামনে রেখে। এ বারের বৈঠক থেকেই কিছু সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৌতমবাবুরা। আরও কিছু জোনাল তথা স্থানীয় নেতৃত্বের মুখ বদলাবে। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিও চলবে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুও শুক্রবার বার্তা দিয়েছেন, সামনে বড় লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে আপাতত দু’জন নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জেলা কমিটিতে এসেছেন পাঁচ জন। এঁদের বেশির ভাগই নতুন কয়েকটি জোনাল সম্পাদকের পদে দায়িত্ব নিতে পারেন। পাশাপাশি মজিদ মাস্টারের জোনাল কমিটি বিলোপ করে তাঁকে আপাতত দলের সামনের সারি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু একপ্রস্ত বিতর্ক বেধেছে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী তথা রাজ্য কমিটির সদস্য নেপালদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ দু’দিনের বৈঠকে নেপালবাবু অনুপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, একটি গণসংগঠন নেপালবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন নেপালবাবু। প্রথম দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং দু’দিনই বিমানবাবুর সমানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নেতারা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএম যে ভাবে মাটি কামড়ে পড়ে থাকছে, সেটাই গোটা দলের জন্য পথ হওয়া উচিত। |