টুকরো খবর |
রাঙামাটি থেকে এলেন মহামায়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
দেবী পক্ষের আগের দিনই ‘মহামায়া’ চলে আসেন বাড়িতে। আর দশমী নয়, লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন তিনি শ্বশুর বাড়ি ফিরে যান। অসমের গৌরীপুরের রাজবাড়িতে দেবী দুর্গাকে ‘মহামায়া’ নামেই পুজো করা হয়। এক সময় অসম গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে বাংলাদেশে রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল গৌরীপুরের রাজাদের রাজ্যপাট। তখন থেকে অষ্টধাতু ‘মহামায়া’ মূর্তির পুজো শুরু। তবে রাজপরিবারের পুজোতে অবশ্য দেবীর সন্তানসন্ততিরা নেই। ১৬৫৮ খৃষ্টাব্দে গৌরীপুরের রাজা কবিশেখর বরুয়ার রাজত্ব কালে, রাজবাড়িতে প্রথম দুর্গা পুজোর আয়োজন হয়। সেই সময়ই প্রতি বছর প্রতিপদে মহামায়া মূর্তিকে রাঙামাটি থেকে গৌরীপুর আনা হত। এক সময়ে এই পুজোয় যথেচ্ছ বলি দেওয়ার প্রথা চললেও বর্তমানে, তা আর নেই। তবে আজও সেই পুজো প্রাণবন্ত রয়ে গিয়েছে। রাজা প্রকৃতীশচন্দ্র বরুয়ার দ্বিতীয় ছেলে তথা মহামায়া মন্দির পরিচালনা সমিতির সম্পাদক প্রবীর বরুয়া জানালেন, “আগের আর সেই প্রাচুর্য আর নেই। আর আর্থিক সমস্যা রয়েছে। রাজত্ব আধিগ্রহণের পর দেবীর মন্দিরের খরচ চালানোর জন্য সরকার বার্ষিক ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। এখনও অনুদানের অঙ্ক একই রয়ে গিয়েছে। তবে কিছু পুকুর আর দোকান রয়েছে তার থেকেই যে আয় হয়, তা দিয়েই এই পুজোর আয়োজনে যেন কোনও খামতি না থাকে তার চেষ্টা করা হয়।”
|
বরপেটা দুর্ঘটনায় সাসপেন্ড অফিসার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নিয়ম-বিধির তোয়াক্কা না করে দশ আসনের গাড়িতে ২৫ জন যাত্রী তোলার ফলেই গত কালের দুর্ঘটনায় ৩৩ জন প্রাণ হারাল। যার জেরে আজ সাসপেন্ড করা হল ধুবুরির এক এনফোর্সমেন্ট ইনস্পেক্টরকে। গত কাল বরপেটার সরভোগে ট্রাক ও দু’টি যাত্রীবাহী গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ২৮ জন প্রাণ হারান। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২২ জন। তাঁদের মধ্যে আরও পাঁচ জন পরে মারা যান। অসম রাজ্য পরিবহণ দফতর প্রাথমিক যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ট্রাক চালক হাইওয়েতে উল্টো রাস্তায় চলে আসার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, যাত্রীবাহী গাড়ি দু’টিতে সর্বাধিক ২০ জনের জায়গায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ কী ভাবে যাত্রা করছিলেন? জানা গিয়েছে, পরিবহণ দফতরের নজরদারির অভাবে প্রতিদিনই ধুবুরি থেকে বিভিন্ন স্থানে এ ভাবেই গাড়ি প্রতি ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী তোলা হয়। দরিদ্র শ্রমিকদের সামনে অন্য বিকল্প থাকে না। অনেকেই গাড়ি দু’টির মাথায় বসেছিলেন। রাজ্য সরকার আজ সব জেলায় কড়া নির্দেশ জারি করেছে, গাড়ির ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী তোলা যাবে না।
|
জঙ্গি সংযোগ, ধৃত প্রাক্তন বিধায়ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া ও তাদের হয়ে টাকা লেনদেন করার অভিযোগে মণিপুরের প্রাক্তন এক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ সূত্রে খবর, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল অবধি মণিপুরে এনসিপি বিধায়ক ছিলেন সালাম জয় সিংহ। গোয়েন্দাদের দাবি, কেসিপি জঙ্গিদের গ্রেফতার করে জানা গিয়েছে, সালাম জয় সিংহ নিয়মিত জঙ্গিদের আশ্রয় দিতেন। এমন কী, বিভিন্ন সূত্র থেকে জঙ্গিদের হয়ে তোলা আদায়ও করতেন ওই বিধায়ক। গত কাল এনআইএ গুয়াহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।
|
এলজিবিটিদের জন্য প্রথম
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
এ বার সমলিঙ্গ, রূপান্তরকামী এবং উভলিঙ্গদের মুক্তির বার্তা পাঠাবে এয়ার ওয়েভ। সেপ্টেম্বর থেকে বেঙ্গালুরুতে তাঁদের কথা ভেবে চালু করা হয়েছে ‘কিউ রেডিও’ একটি রেডিও স্টেশন। দাবি, ভারতে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। এর মাধ্যমে এলজিবিটিরা নিজের ভাবনা ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
|
কার্গিলের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, দাবি সেনাপ্রধানের |
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও দ্বিতীয় কার্গিল হয়ে যায়নি বলে শুক্রবার জানালেন সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ। এ দিকে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের দিনই গুজ্জারতুরে নতুন করে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। একে ৪৭-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছে। দিন দশেক আগে কেরন-মেন্ধর সেক্টরে শালবাতোর এক গ্রামে তিরিশ-চল্লিশ জন জঙ্গি ঢুকে পড়ে। জঙ্গি অনুপ্রবেশের কথা প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে তা স্বীকার করতে বাধ্য হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। বারো জন জঙ্গিকে তারা মেরে ফেলেছে বলে দাবি করলেও এখনও সেখান থেকে একটিও দেহ উদ্ধার হয়নি। দু’দিন আগে লেফটন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিংহ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, কার্গিলের মতো এতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি এখানকার পরিস্থিতি। শুক্রবার সেই একই পথে হাঁটলেন সেনাপ্রধানও। তবে জঙ্গিরা কোনও গ্রাম দখল করে আছে বলে মানতে চাননি বিক্রম সিংহ। জানিয়েছেন, সব জঙ্গিকেই ধরা যাবে, খালি কয়েকটা দিন সময় লাগবে।
|
প্রস্রাব খেতে বাধ্য করত, বলল পরিচারিকা |
প্রস্রাব খেতে বাধ্য করত ওরা। পরনের জামাকাপড়টুকুও দিত না। অর্ধনগ্ন করে রাখত প্রায়শই, যাতে কোনও মতেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে না পারি সফদরজঙ্গ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পুলিশকে কথাগুলো জানাচ্ছিল বছর ষোলোর কিশোরীটি। চার দিন হল দক্ষিণ দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মাস চারেক আগে ফ্ল্যাটটিতে পরিচারিকা হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই হিংসার শিকার হচ্ছিল সে। শেষমেশ প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী বন্দনা ধীর। বুধবার বন্দনাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক নিগৃহীতা ওই কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন পুলিশকে। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে যান দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী একটি দল। পুলিশকে ওই কিশোরী জানায়, কাজে ভুল হলেই গরম হাতা-খুন্তি অথবা ছুরি-ঝাঁটা দিয়ে তাকে মারধর করতেন গৃহকর্ত্রী। জিনিসের দাম বাড়ছে এই অজুহাতে ঠিকঠাক খাবারও দেওয়া হত না তাকে। শুতে দেওয়া হত বাথরুমে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাকে। যে চাকরি সংস্থার তরফে ওই কিশোরীকে বসন্তকুঞ্জের ফ্ল্যাটটিতে কাজে পাঠানো হয়েছিল তার মালিককেও এ দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ডরথি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, এর আগে মে মাসে তাঁদের সংস্থার তরফে আরও একটি মেয়েকে ওই বাড়িতে কাজে পাঠানো হয়েছিল। এক মাসের মধ্যেই কাজ ছেড়ে পালায় সে।
|
পেনশন নিয়ে নির্দেশ কেন্দ্রের |
আরও সরল হল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের স্বামী বা স্ত্রীর পেনশন পাওয়ার প্রক্রিয়া। স্বামী-স্ত্রীর জয়েন্ট পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকলে, প্রাপকের মৃত্যুর পর পেনশন পাওয়ার জন্য অপর জনকে আর ‘ফর্ম ১৪’ জমা দিতে হবে না। যেতে হবে না গেজেটেড অফিসারের কাছেও। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-সহ আবেদনপত্র জমা দিলেই চলবে। তবে ওই জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট না থাকলে, ‘ফর্ম ১৪’ জমা দিতে হবে। কিন্তু তা ‘অ্যাটেস্টেড’ করাতে হবে না। শুধু সাক্ষী হিসেবে দু’জনের সই থাকলেই চলবে।
|
অশালীন ছবি তোলার অভিযোগ |
এক ছাত্রীর অশালীন ছবি তোলার অভিযোগ উঠল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী দিল্লির মৌরিস নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি যখন বাথরুমে গিয়েছিলেন হঠাৎই দেখেন বাইরে এক জন মোবাইলে তাঁর ছবি তুলছে। বিপদঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে পালায় ছাত্রটি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সিন্ধু পিল্লাই জানান, ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে চিহ্নিতও করা গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সে ওই ছবি বা ভিডিও এমএমএসে ছড়িয়ে দিয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
|
আধার নিয়ে ফের শুনানি |
আধার কার্ড সংক্রান্ত আদেশ পরিবর্তনের আর্জি শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক নয়। ওই কার্ড না থাকার জন্য কোনও নাগরিককে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আধার কার্ডের ভিত্তিতেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির বিষয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তাই আদেশের কিছুটা পরিবর্তন চেয়েছেন সলিসিটর জেনারেল মোহন পরাশরণ। ৮ অক্টোবর এই আর্জির শুনানি হবে। |
|