|
|
|
|
|
বারবার বিভ্রাট, যাত্রী
তুলেও
উড়ল না বিমান
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
যাত্রীরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বসে আছেন বিমানের ভিতরে। তাঁদের অভিযোগ, এর মধ্যে পাঁচ বার বিমানের দরজা বন্ধ হয়েছে, পাঁচ বার খুলেছে। বারবার সমস্যা। বারবার মেরামতি। শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারদের আপত্তি থাকায় যান্ত্রিক সমস্যায় উড়ানটি বাতিল করে দেওয়া হল। নামিয়ে আনা হল যাত্রীদের। শুক্রবার সকালে কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার কথা ছিল।
এয়ারবাস ৩১৯ তুলনায় আধুনিক। সেই বিমানে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সমস্যা দেখা দিল। এর আগে ১ অক্টোবর একটি বিমানে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বাগডোগরা এবং পরে ঢাকার উড়ান বাতিল করতে হয়। এ দিন সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে পোর্ট ব্লেয়ারের বিমানটিও ছিল এয়ারবাস ৩১৯। যাত্রী ছিলেন ৬৯ জন। বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পোর্ট ব্লেয়ারের রানওয়ে। তাই সাড়ে ৭টার আগেই সেখানে পৌঁছনোর জন্য ঠিক হয়, উড়ানটি ছাড়বে ৫টায়।
দিল্লি থেকে পরিবার নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছে যান চিরন্তন চট্টোপাধ্যায়। রাত ৩টেয় চেক-ইন। সাড়ে ৪টেয় বিমানে উঠে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে বসেন তাঁরা। চিরন্তন বলেন, “এক বার করে দরজা বন্ধ হচ্ছিল, ফের খোলা হচ্ছিল। ইঞ্জিনও এক বার করে চালু হচ্ছিল, আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা বসে ছিলাম প্রায় তিন ঘণ্টা।” সফিউর রহমান নামে ওই বিমানের আর এক যাত্রীর অভিযোগ, অত ক্ষণ বিমানের ভিতরে বসিয়ে রাখা সত্ত্বেও এক বারও খাবার দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “বাচ্চারা ছিল। তাদের নিয়ে সমস্যা হয়। শেষের দিকে জল দেওয়া হয় ছোট বোতলে।”
বিমান সংস্থা সূত্রের খবর, প্রথম যে-সমস্যা দেখা দেয়, তা সারিয়ে ফেলা হয় ভোর সাড়ে ৫টায়। কিন্তু তখন কলকাতা থেকে উড়লে রানওয়ে বন্ধ থাকায় পোর্ট ব্লেয়ারে গিয়ে নামা যেত না। তাই সকাল সাড়ে ৬টায় ওড়ার জন্য বিমান প্রস্তুত রাখা হয়। তখন উড়তে গিয়ে দেখা দেয় দ্বিতীয় সমস্যা। সেটা সারানোর পরে আবার দরজা বন্ধ করে ইঞ্জিন চালু করা হয়। আবার সমস্যা দেখা দেয়। প্রতি বারেই ভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বিমানটি বসিয়ে দেওয়া হয়। নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। চূড়ান্ত মেরামতির পরে বিকেলে বিমানটিকে আগরতলা পাঠানো হয়।
পোর্ট ব্লেয়ারের উড়ান বাতিল হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিমান সংস্থার অফিসারদের ঘিরে ধরেন তাঁরা। শেষে জেট-এর বিমানে ২০ জন যাত্রীকে পোর্ট ব্লেয়ার পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন সফিউর ও চিরন্তন। অন্য যাত্রীদের আজ, শনিবার সকালের উড়ানে পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অরূপ চৌধুরী নামে দমদম পার্কের এক বাসিন্দা। আন্দামানে ১০ দিনের জন্য বুকিং করা ছিল তাঁর। তিনি বলেন, “আমার একটা দিন নষ্ট হল। পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে গেল।” |
|
|
|
|
|