সাবেকি মণ্ডপে থিম এসেছে অনেকদিন। প্রতিমাতেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ক্রমেই বদল আসছে প্রতিমার সাজে।
পুজো আসতে আর সপ্তাহ দেড়েক বাকি। মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরির মধ্যেই চলছে প্রতিমায় শেষ পর্যায়ের তুলির টান। চলছে প্রতিমার সাজ পড়ানোর কাজ। প্রতিমার সাজের মধ্যে এ বার চোখে পড়ছে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আগে প্রতিমার সাজে ব্যবহার করা হত সোনালি ও সাদা রঙ। এ বার সেই জায়গায় এসেছে নীল, কালো-সহ অন্যান্য রঙ।
আগে প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হত মূলত ডাকের সাজ। বদল এসেছে সেখানেও। শোলার উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিমার সাজে এখন ব্যবহার হচ্ছে জরির কাজ। কালনা শহরের বড় মিত্র পাড়া, জাপট-সহ কয়েকটি এলাকায় এখন পুরোদমে চলছে জরির সাজ তৈরি। জরি শিল্পীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েক হাজার জরির সাজ কালনা থেকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতার প্রতিমার সাজ ব্যবসায়ী অবনী সাহা বলেন, “দেখতে সুন্দর হওয়ায় এবং জৌলুস থাকায় কালনার সাজ দর্শক বেশি পছন্দ করেন। এ বার কলকাতার অনেক মণ্ডপ সাজবে কালনার জরির সাজে।” |
শুধু এ রাজ্যেই নয়, কালনায় তৈরি হওয়া জরির সাজের কদর রয়েছে ভিনরাজ্যেও। আসাম, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু রাজ্য থেকে জরির সাজ তৈরির বরাদ পেয়েছেন কালনার জরি শিল্পীরা। তবে শুধু পুজোর সময়েই নয়, কালনার বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরেই জরির কাজ হয়। এই সাজে জরি কাপড় ছাড়া ব্যবহার করা হয় পুঁতি, চুমকি, কাচ।জরি শিল্পী উজ্জ্বল ঘোষ জানান, আষাঢ় মাসের পর থেকেই পাইকারি বাজারে জরির সাজ চলে যেতে শুরু করে। সাজের মধ্যে থাকে ময়ুর, হাঁসের নকশা। বড়মিত্রপাড়ার জরি শিল্পী অমর পাল বলেন, “জরির সাজের জৌলুস আলাদা। দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী এ বার সাজ হচ্ছে নানা রঙের।” তবে তাঁর আক্ষেপ, “কাঁচামাল-সহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ছে। তাই সেই মত লাভ থাকছে না।” |