আজ গণছুটির ডাক সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়েই |
পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ, বৃহস্পতিবার কার্যত কোনও কাজ হবে না। কারণ, গণ ক্যাজুয়াল ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মীদের একটি বড় অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্ধারিত বেতনক্রম চালু, সেই মতো কাজের নিয়ম তৈরি, কোর্ট-কাউন্সিলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থায় তাঁদের রাখা ইত্যাদি দাবিতে এই গণছুটির ডাক দিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন। সংগঠনটি বাম প্রভাবিত। সংগঠনের পূর্বাঞ্চলের সচিব, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী অঞ্জন ঘোষ বলেন, “সারা দেশেই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে প্রায় দু’সপ্তাহ আগে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে যে-সব জায়গায় পরীক্ষা বা অন্য জরুরি কাজ আছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ছুটি নেবেন না।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই আজ সেনেট ও সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক আছে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “কর্মচারীদের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বজায় রাখেন। সেনেট ও সিন্ডিকেটের বৈঠকে কর্মীর অভাবে কোনও সমস্যা হলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
|
ক্ষুদ্র সেচে ৩৮ কর্মীর বেতন বন্ধ |
কোনও সরকারি আদেশনামা নেই। তা সত্ত্বেও ক্ষুদ্র সেচ দফতরের ৩৮ জন কর্মীর বেতন দু’মাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাম আমলে মৃত সরকারি কর্মীর পোষ্য হিসেবে ওই ৩৮ জনকে ২০০৯-’১০ সালে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র সেচ নিগমে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন তৃতীয় এবং দু’জন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছে ওই নিগমের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মী সংগঠন ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। সংগঠনের নেতা শঙ্কর রায় জানান, ওই ৩৮ জন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। বেতন থেকে প্রফিডেন্ট ফান্ডে টাকাও জমা পড়েছে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সৌমেনবাবু। তিনি বলেন, “বাম আমলে পোষ্যদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধি মানা হয়নি। বিধি অনুযায়ী তাঁদের চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ করার কথা।”
|
কন্যাশ্রী নয়, মমতাশ্রী, তোপ বৃন্দার |
কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ‘মমতাশ্রী প্রকল্প’ বলে কটাক্ষ করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট। বুধবার বরাহনগরে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে বৃন্দা বলেন, “কন্যাশ্রী প্রকল্প নয়, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) মমতাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পে একজন ছাত্রী মাসে ৪১ টাকা পাবে। সেই টাকায় একটা খাতাও কেনা যায় না!” কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে সেই টাকা গরিব ছাত্রীদের বণ্টন করার দাবিও জানান বৃন্দা। তাঁর আরও অভিযোগ, “বাম আমলে মহিলাদের কাছে কলকাতা নির্ভয়-শহর ছিল। কিন্তু এখন মহিলারা থানায় অভিযোগ জানাতে যেতেও ভয় পান।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহের রাজ্য সফরের কথা উল্লেখ করে বৃন্দা অভিযোগ করেন, বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করছে। আলিমুদ্দিনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমও একই অভিযোগ করেছেন।
|