|
|
|
|
সরকারি সাহায্যের স্কুলে ডিসেম্বরেই বদলি শুরুর আশা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিয়মকানুন আপাতত আইন দফতরের কাছে আছে। তবে ডিসেম্বরেই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে সাধারণ বদলির ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ওই সংস্থার চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল নিজেই এ কথা জানান। সরকারি সূত্রের খবর, আইন দফতরের কাছে থাকা বদলি-বিধিতে শীঘ্রই সিলমোহর পড়বে।
সরকারি স্কুলে নিয়মিত বদলি চালু থাকলেও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এখনও সেই নিয়ম নেই। তবে ওই সব স্কুলেও এই নিয়ম চালু করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সরকারি সূত্রের খবর, সাধারণ বদলির নিয়মবিধি বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরে আইন দফতরে পাঠানো হয়েছে মাস দুয়েক আগে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরে তার গেজেট বিজ্ঞপ্তি হবে। বিজ্ঞপ্তির ২১ দিন পর থেকে নিয়মটি বলবৎ করা যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বদলির পদ্ধতি কী হবে?
চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা সংরক্ষিত বা অসংরক্ষিত, যে-পদে কর্মরত, শুধু সেই ধরনের পদেই বদলির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। সংরক্ষিত পদ থেকে অসংরক্ষিত পদে কিংবা অসংরক্ষিত পদ থেকে সংরক্ষিত পদে বদলির সুযোগ মিলবে না। কখন কোন স্কুলে কী ধরনের পদে বদলির সুযোগ হচ্ছে, সাধারণ বদলির পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে তা জানানো হবে কমিশনের ওয়েবসাইটেই।
সাধারণ বদলির জন্য প্রার্থীরা সারা জীবনে এক বারই আবেদন জানাতে পারবেন। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যে-স্কুল থেকে বদলি চাইবেন, সেখানে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর শিক্ষকতা করতেই হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, এক জন প্রার্থী তিনটি স্কুলে বদলির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তবে ওই স্কুলগুলিতে বদলি হতে চেয়ে যদি একাধিক শিক্ষক আবেদন জানান, তা হলে কাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করা হবে নম্বরের ভিত্তিতে।
এই নম্বর দেওয়া হবে কী ভাবে?
কমিশন-প্রধান বলেন, “নম্বর মিলবে অভিজ্ঞতার নিরিখে।” সেই মাপকাঠিটা এই রকম: ২০০৬-এর আগে প্রতি বছরের অভিজ্ঞতার জন্য দু’নম্বর এবং তার পরে প্রতি বছরের জন্য এক নম্বর দেওয়া হবে। বাড়তি সুবিধা হিসেবে এমনিতেই তিন নম্বর দেওয়া হবে মহিলাদের। তার উপরে কোনও শিক্ষিকার যদি ১০ বছরের কম বয়সি সন্তান থাকে, তা হলে তিনি পাবেন পাঁচ নম্বর। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, “এ ভাবেই নিয়মটা তৈরি করা হয়েছে।” আর কমিশন-কর্তাদের আশা, এই সব নিয়মের তেমন কোনও হেরফের না-করেই বিলটিকে অনুমোদন দেবে আইন দফতর। |
|
|
|
|
|