বিদ্যুৎ পরিষেবা বাড়াতে পদক্ষেপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারাপীঠ |
নিরাপত্তা না নিয়েই কাজ করছেন কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ঘণ্টা চারেক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে তারাপীঠ এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত বীরভূম রিজিওন্যাল ম্যানেজার তপন দে বলেন, “তারাপীঠে এ বছর কৌশিকী অমাবস্যার রাতে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্যই বিদ্যুৎ দফতর থেকে নতুন কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।” ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত টাঙানো আগের বিদ্যুৎবাহী তার পরিবর্তন করে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে তারাপীঠ এলাকায় আগে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেত, এখন তার থেকে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। তপনবাবু জানিয়েছেন, রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত যে ১১ কেভি বিদ্যুৎবাহী তার গিয়েছে, সেই তার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন করার ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি করা হলে তার ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। বিদ্যুৎ পরিষেবারও মান বাড়বে। তিনি আরও জানান, রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত একই ভাবে আরও একটি বিকল্প লাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তারাপীঠকে আলাদা ফিডার লাইনের মধ্যে আনা হচ্ছে। |
তাঁত শিল্পীদের সাহায্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড’-এর অন্তর্গত ‘ন্যাচারাল ফাইভার মিশনে’ স্থানীয় ৯৯ জন তাঁতিশিল্পীর হাতে তুলে দেওয়া হল তাঁত বোনার অত্যাধুনিক যন্ত্র। বুধবার সাঁইথিয়ায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। জেলা হ্যান্ডলুম দফতরের আধিকারিক স্বর্ণময় চন্দ্র বলেন, “চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ওই ৯৯ জনকে অত্যাধুনিক যন্ত্র চালিয়ে তাঁত বোনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে নানা জটিলতায় শিল্পীদের হাতে ওই যন্ত্র তুলে দিতে একটু দেরি হল।” প্রতিটি যন্ত্রের দাম প্রায় ১৬-১৭ হাজার টাকা। পরে বিকাশবাবু বলেন, “সরকার ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্পকে নতুন করে চাঙ্গা করার কাজ করছে। শুধু সাঁইথিয়া নয়, রাজনগর, বসোয়া-বিষ্ণুপুর-সহ জেলার সমস্ত জায়গার তাঁত, তুতো, রেশম শিল্পীদের নানা ভাবে সাহায্য করার কাজ শুরু হয়েছে।” তাঁদের তৈরি শিল্পসামগ্রীর বাজার তৈরিরও চেষ্টা চলছে বলে নতুন জেলা সভাধিপতির আশ্বাস। |