|
|
|
|
|
দার্জিলিঙে দুর্গা পুজো |
একশো বছর হতে বছর খানেক বাকি। দার্জিলিংয়ের নৃপেন্দ্রনারায়ণ হিন্দু পাবলিক হলের দুর্গাপুজো মানেই নস্টালজিয়ায় টান। সরণি ধরে ফিরে পাওয়া। মিটিং, মিছিল, গোর্খাল্যান্ডের দাবি, বন্ধ শারদোৎসব উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ১৯১৫ সালে সূচনা এক শরদ প্রাতে, শৈলশহরের বাঙালিরা দুর্গা পুজোয় উদ্যোগী হন নৃপেন্দ্রনারায়ণ হিন্দু পাবলিক হলের শ্রীময়ী মন্দির প্রাঙ্গণে। সাহেবদের ক্লাব কালচারের পরিসরে প্রবর্তন করেন বাঙালির এ সর্ব বৃহৎ উৎসবের। এ বারও শিলিগুড়ি থেকে মহালয়ার পর দিন প্রতিমা পৌঁছে যাবে মন্দিরে। বাদ যাবে না অষ্টমীর কুমারী পুজোও। পুজোপ্রাঙ্গণ ভরিয়ে রাখবে মালদহের ঢাকির বোল। |
|
সর্বজনীন এই উৎসবকে সফল করে তুলতে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন দার্জিলিং শহরের সব সম্প্রদায়ের মানুষ বলে জানালেন ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক প্রতাপাদিত্য গুই। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মুলতুবি রাখতে হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মরণিকা প্রকাশ। তবে তিন দিনই পাঁচ থেকে ছ’ হাজার লোককে পাত পেড়ে ভোগ খাওয়ানোর রেওয়াজ এ বছরও চালু থাকবে । সম্পন্ন হবে প্রথামাফিক আলিঙ্গন, মিষ্টিমুখে বিজয়া সম্মিলনী।
আগমনী। মাস খানেক আগে থেকে আরাত্রিকের পর আগমনী ‘ওই গিরি নন্দিনী, নন্দিত মেদিনী’ গানে শুরু হয়ে যায় মায়ের আবাহন। শহর জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যশালী পুজোর অন্যতম মঠ ও মিশনের দুর্গোৎসব। শুদ্ধতা আর সাবেকিয়ানা অটুট রেখে জন্মাষ্টমীতে হয়ে যায় কাঠামো পুজো।
|
মেয়ে গড়ে চলেন সুমতি |
|
৬৩ বছরেও নেশা ছাড়তে পারেননি সুমতি পাল। নেশা মানে, প্রতিমা গড়ার নেশা। এ কাজ আগে করতেন তাঁর স্বামী। ১৯৮২ সালে মারা যান তিনি। তার পর থেকে সেই কাজ করছেন জলপাইগুড়ির বাঘাযতীন কলোনির এই বাসিন্দা। নেশার টানে তাঁর হাতে উঠে আসে মাটি, রং, তুলি। সে সব মিলে তৈরি হয় দুর্গা। সময় অনুযায়ী কালী, লক্ষ্মী এবং সরস্বতী। এ বার পুজোয় সাতটি মণ্ডপে দেখা যাবে তাঁর তৈরি প্রতিমা। তাঁর চার মেয়ে এবং এক ছেলে। ছেলেমেয়েরাও জানে এই কাজ। ঠাকুরগড়ার কাজে তাঁর নাতিরা সাহায্য করে। সুমতি দেবী বলেন, “জিনিস পত্রের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতিমা বিক্রি করে ঠিক মতো টাকাও পাওয়া যায় না, তবুও ওই নেশাতেই কাজ করা। প্রতিমা তৈরির সময় কোথা দিয়ে যে দিন রাত কেটে যায় টের পাই না। ষষ্ঠীর দিন প্রতিমাগুলো চলে যায় মণ্ডপে। মনে হয় যেন মেয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যাচ্ছে। মহাষষ্ঠীতেই তাই আমার বিজয়া দশমী।”
|
মঠ ও মিশনের দুর্গাপুজো |
|
ঠাকুর গড়ছেন কৃষ্ণ পাল। আশ্রম চত্বরেই তৈরি হচ্ছে একচালা বাংলা রীতির প্রতিমা। বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা থেকে এ প্রতিমার গড়ন পৃথক। অতসী বর্ণের গাত্র, পটলের চোখ। সিংহ ও অসুরে সমাসীনা। মায়ের বস্ত্র লাল বর্ণের। লক্ষ্মী, সরস্বতীর পরনে যথাক্রমে গোলাপি, হলুদ শাড়ি। গরদ ধুতি ও চাদর গণেশের জন্য। কার্তিক পরবেন সাদা বা সবুজ ধুতি। প্রতিমার অলঙ্কার অস্ত্রশস্ত্র সব আসছে কলকাতা থেকে। মূর্তিতে রঙের ছোঁয়া পড়বে মহালয়ায়। চণ্ডীপাঠ ও পুজো করতে আসছেন পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক জ্ঞানলোকানন্দ, পূজারি হয়ে আসবেন বিহারের ছাপরা রামকৃষ্ণ মিশনের ব্রহ্মচারী মিলন, তন্ত্রধারক জয়রামবাটি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রাণেশ্বরানন্দ বলে জানান জলপাইগুড়ি মঠ ও মিশনের সম্পাদক অক্ষয়ানন্দ। |
|
|
|
|
|