টুকরো খবর
পুকুর ভরাট বন্ধের নির্দেশ
অবিলম্বে পুকুর ভরাট বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বোলপুরের মহকুমাশাসক মলয় হালদার। ইতিমধ্যে বোলপুরের পুরপ্রধান, তৃণমূলের সুশান্ত ভকত পুকুর ভরাট ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে লিখিত জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বোলপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামপুকুর নামে একটি জলাভূমি ভরাটেকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন যন্ত্র দিয়ে ভরাটের কাজ চলছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ পেয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় তদন্তের আর্জি জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উপ-পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউরি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান মহকুমাশাসক মলয়বাবু। মঙ্গলবার মলয়বাবু বলেন, “ভরাটের কাজ অবিলম্বে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” শুধু ওই পুকুর নয়, লাগোয়া ‘ভোলাপুকুর’ নামে আর একটি জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।

বৃষ্টি হওয়ায় খুশি চাষিরা
নিম্নচাপের জন্য দু’দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে এই জেলাতেও। পুজোর ঠিক আগের মুহূর্তে এ হেন আবহাওয়া দেখে মোটেও খুশি নন বস্ত্র বিক্রেতা থেকে প্রতিমা শিল্পী কেউই। মাথায় হাত পড়েছে পুজোর উদ্যোক্তাদের। তবে জেলার দুবরাজপুর, খয়রাশোল ও রাজনগরের মতো ব্লকের কৃষকেরা অবশ্য এতে অসন্তুষ্ট নন। কারণ, বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষিজমির একটা বড় অংশে ধান চাষই করতে পারেননি চাষিরা। মূলত বৃষ্টির জলের উপর চাষ নির্ভর করে বলে গত একপক্ষ কাল বৃষ্টি না হওয়ায় কাপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিলে এলাকার অধিকাংশ চাষিদের। গত দু’দিন ধরে নিম্নচাপের সৌজন্যে যে পরিমাণ বৃষ্টি হল তাতে সমস্যা মিটে যাবে বলেই মনে করেছেন চাষিরা। কৃষকদের সঙ্গে একমত কৃষি দফতরও। খয়রাশোল ব্লকের উপকৃষি অধিকর্তা (বর্তমানে তিনি দুবরাজপুর ব্লকেরও অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন) দেবব্রত আচার্য বলেন, “এই বৃষ্টি শুধু ধান চাষের উপকারে লাগবে তা নয়, আগামী রবি চাষের জন্যও জমিতে যে পরিমাণ আদ্রতা দরকার সেটাও ধরে রাখতে পারবে বলেই মনে হয়।” তবে সমস্যা একটাই। এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন সব্জি চাষের জন্য চারা তৈরি করেছেন চাষিদের একাংশ। সেই চারা ধসা রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চাষিরা যদি জমিতে ওই চারা বসানের আগে ঠিকমতো সার ব্যবহার করে চারা লাগান তা হলে সমস্যা থাকবে না বলে জানাচ্ছেন দেবব্রতবাবু।

রাস্তা সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ
ঘরে ঘরে পানীয় জল কবে পৌঁছবে, তা অজানা পুরবাসীর। অন্য দিকে, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় যাতায়াত করাটাই দায় হয়ে পড়েছে। তার উপর সামনে পুজোর মরসুম। তাই পুরসভা শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা সংস্কার শুরু করেছে। কিন্তু ৫, ৯, ১০, ১২ এই চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে প্রধান বাজার। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, খন্দে ভরা রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হলেও ছোট রাস্তাগুলি ঠিক করা হচ্ছে না। কামারপট্টি মোড় লাগোয়া রাস্তা প্রতিবছরই সংস্কার করা হয়। অথচ নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভার সঠিক ‘পরিকল্পনা’র অভাব রয়েছে। একই ভাবে ব্যাঙ্ক রোড, ধুলাডাঙা রোড, পাঁচমাথা মোড় পেরিয়ে চাঁদমারি রোডগুলি প্রতিবছর সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। গলির রাস্তাগুলি সংস্কারের ব্যাপারে পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ। পুজোর পরে গলির রাস্তাগুলি সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি।

স্ত্রীকে খুন, যাবজ্জীবন
স্ত্রীকে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরুপদ মণ্ডল ওই সাজা শোনান। সাজাপ্রাপ্তের নাম মনসা মুর্মু। অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালের ৮ জুন ময়ূরেশ্বর থানার উপর কাঁদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মনসার বাড়ির চিলোকোঠা থেকে স্ত্রী লক্ষ্মী হেমব্রমের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে লক্ষ্মীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মোট চার জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু মামলা শুরু থেকে পুলিশ শুধু মাত্র মনসা মুর্মু ও তার বাবা হারমুন মুর্মুর বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে। সোমবার বিচারক মনসাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে হারমুনকে বেকসুর খালাস দেন। মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় মনসার।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়ার ছাউতড়া গ্রামে। মৃতেরা হলেন, ষষ্ঠী দাস (৩৪) ও শিবু দাস (৩১)। তাঁদের আর এক ভাই ধরম দাস বলেন, “টিভিতে লাইন না আসায় ষষ্ঠীদা তার দেখছিল। হঠাৎ তিনি চিৎকার করে ওঠে। তার হাত থেকে তার ছাড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় শিবুদাও।” দু’জনকে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ষষ্ঠীবাবুকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে মারা যান শিবুবাবুও। আজ, বুধবার ময়না তদন্তের পরে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শুভেচ্ছা বার্তা
শিল্পীর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা।—নিজস্ব চিত্র।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদ প্রতিম শিল্পী মোহন সিং খাঙ্গুরার ৬৪তম জন্মদিনে, মঙ্গলবার তাঁর শান্তিনিকেতন বাসভবনে শুভেচ্ছা পাঠান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন দুপুরে বোলপুরের মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তা শিল্পীর কাছে পৌঁছে দেন। প্রবাদ প্রতিম এই শিল্পীর প্রতিক্রিয়া, “ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের মতো শিল্পীদের তিনি মনে রেখেছেন, খুবই ভাল লাগছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.