|
|
|
|
ক্ষমাপ্রার্থী!
অস্কার বিতর্কের জন্য ক্ষমা চাইলেন ‘দ্য লাঞ্চবক্স’-এর
পরিচালক রীতেশ বাত্রা। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত। |
প্রত্যেক বছর অস্কারে মনোনীত ভারতীয় ছবি নিয়ে বিতর্ক হয়েই থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ‘দ্য গুড রোড’-কে অস্কারের জন্য মনোনীত করার পর থেকেই বিতর্কের শুরু। টুইটারে ‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ছবির পরিচালক রীতেশ বাত্রা ও প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে অবশ্য অনুরাগ টুইটার থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টটিই উড়িয়ে দেন।
ঝামেলা অবশ্য সেখানে শেষ হয়নি। ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার মুখ্যসচিব সুপ্রাণ সেন রীতেশকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটিতে লেখা ছিল “আপনি এবং আপনার টিম বলেছেন যে, আপনাকে সোনি ক্লাসিকস আশ্বস্ত করেছে এই বলে যে ‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ভারত থেকে নির্বাচিত হলে খালি দেখবেন তার অস্কার দৌড়! ভারত থেকে অস্কারের জন্য ‘দ্য লাঞ্চবক্স’-এর নির্বাচনের বিষয়টাকে টেকনিক্যালিটি বলতেও দ্বিধা করেননি আপনি... কী হিসেবে এই দাবি করেছেন আপনি? সোনি ক্ল্যাসিকস-ই বা কী ভাবে আপনাকে এই নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারে? আপনি কি বলতে চান যে অস্কারেও রিগিং চলে... ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এও পোস্ট করেছেন যে অস্কারের তালিকায় যে-সিনেমা যাচ্ছে, তা বেছে নেওয়ার পদ্ধতিতেই দুর্নীতি থাকে... ফেডারেশন আর অস্কার জুরি নিয়ে যে-অপমানজনক মন্তব্য আপনি করেছেন, তার জন্যও আপনাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।” |
‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ছবিতে ইরফান ও নওয়াজউদ্দীন। |
রীতেশ এখন গোয়াতে। ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তাঁর মন্তব্যের জন্য। বলছেন, “একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মন্তব্যটা করেছিলাম। প্রত্যেক বছর আমাদের দেশ থেকে পাঠানো ছবিকে ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা মন্তব্য করা হয়। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, একটা নতুন নির্বাচন পদ্ধতি দরকার। গোপন জুরি নয়। প্রয়োজন পাবলিক জুরি সিস্টেমের। তাতে নির্বাচন পদ্ধতিটা স্বচ্ছ হবে।” রীতেশের চিঠি পেয়ে সুপ্রাণ খুশি। বলছেন, “কাউকে দুঃখ দিতে চাই না। তবে এফএফআই-কে ম্যালাইন করাটা ঠিক নয়। নতুন পলিসি গঠনের জন্য রীতেশের প্রস্তাবটা আমরা বিবেচনা করব।”
পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত রীতেশের ক্ষমা চাওয়ার কথা শুনে খুশি। তবে এও বলেন যে, নতুন নির্বাচন পদ্ধতি থাকাটা খুবই প্রয়োজন। “‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ভাল লেগেছে। তবে অনুরাগ ও রীতেশের ঔদ্ধত্য পছন্দ হয়নি। রীতেশ ক্ষমা চেয়েছে শুনে ভাল লাগল। তবে এটাও বলব ভাল ছবি অস্কারে পাঠাতে গেলে নতুন নির্বাচন পদ্ধতি একান্তই প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|