শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দেরি করে স্কুলে আসার অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একাংশ। সোমবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া মফস্সল থানার রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুপুরের দিকে ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্কুলে তালা খুললেও পড়াশোনা আর হয়নি।
এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ৯০। শিক্ষক রয়েছেন তিন জন। গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায়ই দেরি করে স্কুলে আসেন। মিড-ডে মিলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। এ সবের প্রতিবাদে এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্কুলের মূল গেট ও ক্লাসরুমের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন অভিভাবকেরা। স্কুলে এসেও ঢুকতে পারেননি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। গ্রামবাসীদের মধ্যে আলোক মুখোপাধ্যায়, রাখহরি মুদিরা বলেন, “শিক্ষকেরা বেশির ভাগ দিন দেরিতে স্কুলে আসেন। বহুবার তাঁদের কাছে সময়ে স্কুলে আসার আবেদন করেও ফল হয়নি। তাই স্কুলে তালা দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।” |
গ্রামবাসীদের আরও দাবি, এ দিনও স্কুল শুরুর নির্ধারিত সময়ের পরেই তালা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু, এ দিনও শিক্ষকেরা দেরি করে এসেছেন বলেই স্কুলে ঢুকতে পারেননি। বাইরে বসে থাকা শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।
স্কুলটির টিচার-ইন-চার্জ গার্গী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন আমার মা অসুস্থ থাকায় তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের ওই অংশ প্রায়ই দেরী করে স্কুলে আসার যে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়।” গার্গীদেবীর পাল্টা দাবি, “সম্প্রতি গ্রামের কয়েক জন যুবক স্কুলে অনুষ্ঠান করবে বলে স্কুলের চাবি চেয়েছিল। আমরা ওদের জানিয়েছিলাম, ওই ধরনের কাজে স্কুল ব্যবহার করা যায় না। তারই প্রেক্ষিতে গ্রামবাসীদের ওই অংশ স্কুলে তালা দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।” গার্গীদেবীর এই দাবিকে আবার ভিত্তিহীন বলছেন বিক্ষোভকারীরা। |