অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের পারদ আরও চড়ল। ফের বাড়ল বৈদেশিক মুদ্রার চলতি খাতে লেনদেন ঘাটতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি, সরকারি হিসাব অনুযায়ী রাজকোষ ঘাটতি এপ্রিল থেকে অগস্টেই চলতি অর্থবর্ষের জন্য বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার ৭৪.৬% ছুঁয়ে ফেলেছে।
সোমবার প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুসারে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক এপ্রিল থেকে জুনে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি ছুঁয়েছে জাতীয় আয়ের ৪.৯%। ঘাটতি ২১৮০ কোটি ডলার বা ১,৩৫,১৬০ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রার আয়-ব্যয়ের এই ফারাক বাড়ার জন্য সেই সোনা এবং তেল আমদানিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এপ্রিল থেকে জুনে সোনা আমদানি বেড়েছে ৭৩০ কোটি ডলার। আমদানির পরিমাণ ৩৩৫ টন। এটা না-বাড়লে লেনদেন ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৩.২%-এ বেঁধে রাখা যেত বলে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশের আগেই শেয়ার বাজার বন্ধ হয়ে গেলেও ঘাটতি বাড়ার আশঙ্কায় ও আমেরিকায় প্রশাসনিক কাজকর্ম থমকে যাওয়ার সম্ভাবনার খবরে এ দিন সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ে যায় ৩৪৭.৫ পয়েন্ট। তবে সেপ্টেম্বরে সেনসেক্স বেড়েছে ৭৬০ পয়েন্ট বা ৪%। ২০১২-র নভেম্বরের পর থেকে এক মাসে এত বেশি বাড়েনি সেনসেক্স।
অক্টোবর-ডিসেম্বরে সব নজির ভেঙে ৬.৫% ছোঁয়ার পর জানুয়ারি-মার্চে চলতি খাতে লেনদেন ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছিল ৩.৬%। কেন্দ্রের লক্ষ্য চলতি ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে তা ৩.৭% বা ৭ হাজার কোটি ডলারে নামিয়ে আনা। গত বছর তা ছিল জাতীয় আয়ের ৪.৮%।
টাকা সোমবার ৯ পয়সা পড়ায় দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬২.৬০ টাকা। তবে সেপ্টেম্বরে টাকা বেড়েছে ৩১০ পয়সা বা ৪.৭%। এপ্রিলের পর এই প্রথম কোনও মাসে টাকা ঊর্ধ্বমুখী হল।
স্পট এক্সচেঞ্জ কাণ্ডে এফআইআর। ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জে লগ্নিকারীদের ৫,৬০০ কোটি টাকা মেটাতে না-পারার অভিযোগে পণ্য বাজারটির প্রোমোটার জিজ্ঞেশ শাহ-সহ আরও কিছু ডিরেক্টর, ব্রোকারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল মুম্বই পুলিশ। দেশ জুড়ে তল্লাশিও চলেছে অভিযুক্তদের অফিস, বাড়ি, গুদামে। |