নিজে বাস চালিয়ে নতুন বাস রুটের উদ্বোধন করলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। রবিবার ব্যারাকপুর কোর্ট বাস টার্মিনাসে বারাসত-ব্যারাকপুর হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ৭৮সি/১ রুটের উদ্বোধন করে পরিবহণ কর্মীদের বিমা সুরক্ষার ব্যাপারে সরকারি পদক্ষেপের কথা জানান মন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে মদনবাবু বলেন, “পরিবহণ কর্মীদের সামান্য টাকা দিয়েই বিমা সুরক্ষার বিষয়টি ভাবা হয়েছে। এর ফলে যেমন ওই কর্মীদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার দিকটিও সুনিশ্চিত হবে।” |
বারাসত থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত ৮১ নম্বর রুট ছিল আগেই। এর পরে ওই রুটেই চালু হয় সরকারি এস-৩৪ রুট। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন পরিবহণমন্ত্রী।
যদিও পরিবহণ কর্মীদের অভিযোগ, দক্ষিণেশ্বরের নিবেদিতা বাসস্ট্যান্ডের নরক দশা। জল-কাদার জন্য বাস দাঁড়াতে পারে না। সেগুলিকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। এ বার বাসের সংখ্যা বাড়ায় দক্ষিণেশ্বরে যানজটের আশঙ্কা আরও বাড়ল।
|
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃত সোমনাথ দত্তকে সাত দিনের পুলিশি হাজতে পাঠালেন সল্টলেকের এসিজেএম আদালতের বিচারক। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ সারদার ওই কর্তাকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতের আইনজীবী শ্যামলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শনিবার তাঁর মক্কেলকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে, যা পুরোপুরি আইনবিরুদ্ধ। তাঁর দাবি, তাঁর মক্কেল সারদা গোষ্ঠীর নিছক এক জন কর্মী ছিলেন। তাঁর নাম এফআইআরেও ছিল না। সারদার সংবাদমাধ্যম শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সোমনাথ। তিনিই সারদা-কর্তাদের সঙ্গে কুণাল ঘোষের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। গত পাঁচ মাসে সোমনাথকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সল্টলেক কমিশনারেটে শনিবারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তাঁকে। গ্রেফতার করা হয় সন্ধ্যায়। সরকার পক্ষের আইনজীবী সাবির আলি জানান, সারদা গোষ্ঠীর টাকা নয়ছয়ে সোমনাথের বড় ভূমিকা ছিল বলে এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমের কর্মী অভিযোগ করেছেন। সোমনাথকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আরও কিছু তথ্য জানতেই পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চেয়েছে। |
নানা প্রশ্নে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিই এখনও রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনের এই ধারা মাথায় রেখে সতর্ক হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়ার জন্য দলের অন্দরে পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য পার্টি কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত কর্মীদের নিয়ে রবিবার এক সাধারণ সভায় তিনি বলেন, পঞ্চায়েত এবং পুরসভার ভোটে সন্ত্রাস হয়েছে বিস্তর। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় মানুষের পাল্টা প্রশ্ন, বাম আমলেও তো একই অভিযোগ ছিল! তাই হইহই করে আন্দোলনে না নেমে বিষয় চিহ্নিত করে ময়দানে নামতে হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু ওই বৈঠকে সাফ বার্তা দেন, নিষ্ক্রিয় সদস্যদের আর বরদাস্ত করা হবে না।
|
কিছু দিন আগেই যাদবপুরে সিপিএমের একটি জোনাল কমিটির সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এক সময়ের বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট ম্যানেজার খোকন ঘোষ দস্তিদারকে। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মহিলা সমিতির সভানেত্রীর পদ থেকে সরে গেলেন খোকনবাবুর স্ত্রীর চন্দনা ঘোষ দস্তিদার। মহিলা সমিতির জেলা সম্মেলনের শেষ দিনে রবিবার যে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে, সেখানে চন্দনার জায়গায় জেলা সভানেত্রী হয়েছেন মুক্তি ভট্টাচার্য। ঘনিষ্ঠ মহলে চন্দনার দাবি, তিনি নিজেই ওই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। চন্দনা এখনও মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যা। |