আজ রায় শুনতে রাঁচিতে লালু
য়েকশো গাড়ির কনভয় নিয়ে রাঁচির সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ যাদব।
সেটা ২০০১ সালের কথা।
আগামী কাল কোটি কোটি টাকার ওই আর্থিক দুর্নীতির ‘চাইবাসা ট্রেজারি’ মামলার রায় ঘোষণা। তার আগে, আজ কার্যত নীরবেই রাঁচি পৌঁছলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর দিলেন না সাংবাদিকদের প্রশ্নের। বিমানবন্দরে নেমে তিনি শুধু বললেন, “আপনারা আমার পিছনে ছুটবেন না। রায় শুনতে এসেছি। কোনও মন্তব্য করব না।” একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, রায় ঘোষণার পরও তিনি নন, কথা বলবেন তাঁর আইনজীবীই।
বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় জানতে দুপুরের বিমানে পটনা থেকে রাঁচি পৌঁছন লালু।
রাঁচি বিমানবন্দরে লালুপ্রসাদ যাদব। রবিবার মুন্না কামদার তোলা ছবি।
সঙ্গে ছিলেন তাঁর ক্রিকেটার-পুত্র তেজস্বী যাদব, আরজেডি নেতা রামকৃপাল যাদব, আব্দুল বারি সিদ্দিকি, জয়প্রকাশ যাদব। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভায় আরজেডি-র মন্ত্রী সুরেশ পাসোয়ান ও অন্নপূর্ণাদেবী। সেখান থেকে রাঁচি রেল স্টেশনের কাছে রেলের অতিথি নিবাসে পৌঁছে যান প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। বিমানবন্দরে লালুকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার আরজেডি সমর্থক। দলের শীর্ষনেতার নামে জয়ধ্বনি দেন তাঁরা। তবে লালুর কাছাকাছি কাউকেই ঘেঁষতে দেননি নিরাপত্তাকর্মীরা।
চাইবাসা ট্রেজারি থেকে বেআইনিভাবে ৩৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে লালু-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে পটনা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাঁচিতে বিশেষ সিবিআই আদালতে ওই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়। একই মামলায় বিহারের আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও অভিযুক্ত।
অবিভক্ত বিহারে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ঘিরে এক সময় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। প্রশাসনিক হিসেবে, সব মিলিয়ে লোপাট হয়েছিল প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা। গবাদি পশুর খাদ্য কেনার নামে ভুয়ো বিল দেখিয়ে চাইবাসা ট্রেজারি থেকেও ৩৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
আগামী কাল সকাল সাড়ে ১০টায় রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক প্রভাসকুমার সিংহের এজলাসে সেই মামলারই রায় ঘোষণা। সে দিকে তাকিয়ে আদালতের নিরাপত্তা কঠোর করেছে পুলিশ-প্রশাসন। রাঁচির এসপি মনোজরতন চৌঠে বলেন, “আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করতে সিবিআই অনুরোধ জানিয়েছে। সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হবে।”
২০০১ সালে সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণের পর, লালুকে কাঁকেতে একটি অতিথি নিবাসে রাখা হয়। সেটিকেই জেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ভিআইপি স্বাচ্ছন্দ্যে সেখানে ছিলেন লালু। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে এ বার তেমন কিছু করা হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.