পুজোর মুখে কাজ বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে। মূলত শ্রমিক অসন্তোষকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে শুক্রবার রাতে মিলের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। ফলে, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কারখানার হাজার পাঁচেক শ্রমিক বেকায়দায় পড়লেন। কারখানায় গোলমালের অভিযোগ উড়িয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ‘অভিসন্ধি’ রয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। সুষ্ঠু ভাবে মিল চালাতে পরিবেশগত কিছু সমস্যা রয়েছে। শ্রম দফতর এবং জেলা প্রশাসন সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসা করবে।” মহকুমাশাসক (চন্দননগর) বিশ্বনাথ জানান, দ্রুত ওই মিল খোলার ব্যাপারে শ্রমিক সংগঠন ও কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। গত বছর মার্চেও একই কারণ দেখিয়ে মিল বন্ধ করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ পরে মিল খোলে। শনিবার সকালে কাজে এসে ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে শ্রমিকেরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। মিল খোলার দাবি তোলেন। ‘শ্রমিক অসন্তোষ’ ছাড়াও ওই বিজ্ঞপ্তিতে মিল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, উৎপাদিত দ্রব্যের বরাত কমে গিয়েছে। বরাত কমে যাওয়ার কথা মানেননি শ্রমিকেরা।
|
একটি বসতবাড়ির কাঠের স্তূপের মধ্যে থেকে পাওয়া গেল অচৈতন্য এক বধূকে। শুক্রবার বসিরহাটের খোলাপোতার কাছে মথুরাপুরের চন্দ্রনাথ কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় বছর বাইশের ওই মহিলাকে পাওয়া যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই বাড়িটির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। পরে তাঁকে কাঠের স্তূপের মধ্যে ফেলে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পঞ্চানন দাস নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে চন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে আসা একজন প্রথম ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন। চন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী শেফালিদেবী বলেন, “মহিলার শারীরিক অবস্থা ও পোশাকে অত্যাচারের চিহ্ন স্পষ্ট।” স্থানীয় একটি ক্লাবের সম্পাদক বাদল সেনের দাবি, স্থানীয় দাসপাড়ার বাসিন্দা রতন দাসকে টাকি রাস্তার পাশে মগরাপুকুর ধার থেকে মোটরবাইকে করে ওই মহিলাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আসতে দেখেন তিনি। এর পর রতনকে ধরে গণপিটুনি দেন বাসিন্দারা। আরও তিন সঙ্গী, পঞ্চানন, খোকা ও অজিতের নামও বলে। রাতে পঞ্চাননকে বাড়ি থেকে ধরে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
মহালয়ার পরের দিন ৫ অক্টোবর থেকে রাজ্যের নতুন সচিবালয় হাওড়ার এইচআরবিসি ভবনে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই ঠিক হয়েছিল নতুন সচিবালয়ের ভিতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে কলকাতা পুলিশের হাতে। বাইরের নিরাপত্তা দেখভাল করবে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। সেই মতো শনিবার থেকে ‘নবান্ন’র নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারি ভাবে হাতে তুলে নেয় কলকাতা পুলিশ। সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশের র্যাফ, কম্যান্ডো এবং সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে ভরে যায় গোটা ভবনটি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এ দিন বিকেলে এইচআরবিসি ভবনে যান রাজ্যের পদস্থ পুলিশকর্তারা। নতুন সচিবালয়ের জন্য দমকলের যে একটি স্টেশন করার কথা ছিল, এ দিন সেই স্টেশনের কর্মীরা এইচআরবিসি ভবনের পাইপলাইনে জলের চাপও পরীক্ষা করেন। |