|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
ষষ্ঠ শ্রেণির তুলনায় এ বারে আমার পরীক্ষার ফল তুলনামূলক ভাবে ভাল হয়নি। পড়ার সময় ঝিমিয়ে পড়ছি আর অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছি। কী ভাবে পড়ায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনব?
সায়ন্তিকা অধিকারী। সপ্তম শ্রেণি, সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পানিহাটি
সায়ন্তিকা, আগে দেখো ঝিমিয়ে কেন পড়ছ? শারীরিক কোনও কারণ আছে কি না। পড়ায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য একটু দেখো যা পড়ছ, তা বুঝতে পারছ কি না। অনেক সময় বিষয়টি বুঝতে না পারলে আমাদের পড়াশোনায় আগ্রহ কমে যায় এবং আমরা অমনোযোগী হয়ে পড়ি। আর একটা বিষয় দেখতে হবে অন্য কোনও ব্যাপার যেমন টিভি দেখা, অনেকক্ষণ বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা ইত্যাদিও মনকে বিক্ষিপ্ত করে দেয়। সেগুলো কমাতে হবে। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধূলা করে সময়মত পড়তে বসলে মনোযোগ ফিরে আসবে। তোমার যেহেতু আগ্রহ আছে, চেষ্টা করলে পারবে।
|
|
আমি ক্লাসে পড়া না পারলে মাস্টারমশায় শাস্তি দেন এবং সেই দেখে বন্ধুরা হাসাহাসি করে, কাগজ বা ছোট ছোট পাথর ছুড়ে মারে। মাস্টারমশাইয়ের কাছে নালিশ করলে তিনি আমাকেই দোষ দেন। কী করব?
রৌনক বারুই। ষষ্ঠ শ্রেণি |
|
রৌনক, কারও হাসাহাসি তুমি বন্ধ করতে পারো না, কিন্তু পাথর ছুড়ে মারলে তোমার ক্ষতি হতে পারে। কোনও এক দিন ওই পাথরের টুকরোগুলো নিয়ে তোমার মাস্টারমশাইকে দেখাও। তা হলে হয়তো তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। পড়া না-পারাটা যে কোনও ছাত্রের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। তাতে হাসাহাসি করাটা উচিত নয়। আর একটা কথা। তুমি পড়া পারছ না কেন? মন দিয়ে পড়ে পড়া তৈরি করে ক্লাসে এসো। দেখবে, সবাই তোমায় ভালবাসবে। |
স্কুলের পড়া প্রতিদিনই তৈরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু যদি ভুল বলি, বন্ধুরা হাসাহাসি করবে, এই ভয়ে আজ পর্যন্ত পড়া বলার জন্য হাত তুলিনি।
সুমেধা ঠাকুর। সপ্তম শ্রেণি, ক্যালকাটা গার্লস হাই স্কুল |
|
|
সুমেধা কেউ হাসবে বলে তুমি বিষয়টি শিখেছ কি না জানাবার সুযোগ ছেড়ে দেবে? সেটা তো কাজের কথা নয়। প্রথমত, বাড়িতে কাউকে বলবে যে তিনি যেন তোমার পড়া ধরেন, যেমন ভাবে স্কুলে দিদিমণি পড়া ধরেন, সে ভাবেই যেন ধরেন। তা হলে, তোমার ‘রিহার্সাল’ হয়ে যাবে। যে বন্ধুরা হাসবে বলে মনে হয়, তাদেরও বলো যেন একটু তোমার পড়া ধরে আর তোমাকে সাহায্য করে। মনে সাহস এনে এর পর দিদিমণি প্রশ্ন করলে, উত্তর জানা থাকলে হাত তুলবে। ক্লাসে উত্তর না দিলে কিন্তু এ ভয়টা কাটবে না। সুতরাং, সাহস করে এগিয়ে যাও।
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|