সুন্দরবনের জঙ্গলে ঢুকে হরিণ মারার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল বন দফতর। উদ্ধার করা হয় পূর্ণবয়স্ক মৃত হরিণটিকেও। শনিবার সকালে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা রেঞ্জের চুলকাটি-৮ জঙ্গলের ঘটনা। ধৃত মনোরঞ্জন বৈদ্য, আনন্দ গায়েন এবং বংশীধর হালদার রায়দিঘির দমকল গ্রামের বাসিন্দা।
|
নিথর: উদ্ধার হওয়া হরিণের দেহ। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
সকালে বন দফতরের চার কর্মী ওই জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে জনা ছয়েক লোককে জলের মধ্যে দিয়ে কিছু একটা টেনে আনতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা লঞ্চ নিয়ে পৌঁছলে জঙ্গলের মধ্যে তিন জন পালায়। মনোরঞ্জনরা ধরে পড়ে। মৃত হরিণটিকে পাথরপ্রতিমা বিট অফিসে আনা হয়। বন দফতরের অনুমান, মাংস ও চামড়ার জন্য হরিণটিকে হত্যা করা হয়। ডিএফও লিপিকা রায় বলেন, “এটা আমাদের বড় সাফল্য। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে হরিণটিকে মারা হয়েছে।”
|
বেতগুড়ি চা বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া হস্তিশাবকটি মারা গেল শনিবার। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু বলে জানান চিকিৎসকরা। সপ্তাহ খানেক বয়সের শাবকটি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোরা বিটে চিকিৎসাধীন ছিল। তার শরীরের তা পমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। শনিবার তাকে ৭ বোতল স্যালাইন দিয়েও প্রাণে বাঁচানো যায়নি। প্রাণী চিকিৎসক রিপন বিশ্বাস জানান, ডায়েরিয়া আক্রান্ত শাবকটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেতগুড়ি চা বাগানে বুনো হাতির দল ঢোকে। কাদায় আটকে যাওয়া শাবকটিকে উদ্ধার করা হয়।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ধাদিকা বিটের অন্তর্গত কেষ্টপুরে মৃত্যু হল পূর্ণবয়স্ক এক হস্তিনীর। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ্ণুপুর থেকে আসা হাতির দল শিলাবতী নদী পেরিয়ে আমলাগোড়ার জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সময় জমিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটির তার ঘাসের সঙ্গে চিবিয়ে ফেলে হাতিটি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
|
পেশায় চিকিৎসক হলেও দিনের শুরুটা এই বনসাই আর ক্যাকটাসের মাঝেই কাটে মধুসূদন সাহার। দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে তাঁর দোতলা বাড়ির উপরের অংশের পুরোটা জুড়েই হরেক রকম ক্যাকটাস আর বনসাইয়ের মেলা। আসলে মধুসূদনবাবু হরেক রকমের ক্যাকটাসকে কেটে বিভিন্ন আকার দেন। কোনওটা কলসি কাঁখে রমণী, কেউ আবার আকারে বন মানুষ। সাপের আকারের ক্যাকটাসও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। বনসাই এর মধ্যে রয়েছে বট, অশত্থ, তেঁতুল, চন্দন, বকুল-সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। সকাল ৬টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত এদের মাঝেই কাটে ৮৬ বছরের মধুসূদন বাবুর। সব্যসাচী ইসলামের তোলা ছবি।
|