টুকরো খবর
বিসর্জনের ঘাট কোথায় কতটা তৈরি, দেখল পুলিশ ও পুরসভা
কলকাতা শহরে দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কতটা প্রস্তুত রয়েছে গঙ্গার ঘাটগুলি, শুক্রবারই পুরসভার কর্তাদের তা সরেজমিন ঘুরে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জেরেই শনিবার শহরের বেশ কয়েকটি ঘাট পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা। এ দিন প্রথমেই খিদিরপুরের দইঘাটে যান পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার, ডিসি (বন্দর) এবং ডিসি (উত্তর)। দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, ঘাটটির পরিকাঠামো খুবই ভাল। অথচ, সেখানে খুবই কম সংখ্যক প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। তিনি জানান, গত বছর মাত্র ৬০টি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছিল ওই ঘাটে। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে দু’হাজারেরও বেশি পুজো হয়। অধিকাংশ প্রতিমারাই নিরঞ্জন হয় বাজে কদমতলা, নিমতলা, বাগবাজার, আহিরীটোলা ও মল্লিকঘাটে। নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘাটে বির্সজনের ঢল নামায় ভিড় বাড়ে, সময়ও লাগে বেশি। পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, শহরের আরও কয়েকটি ঘাটকে বিসর্জনের যোগ্য করে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো এ দিন গঙ্গার পাড় বরাবর বেশ কয়েকটি ঘাটের হাল দেখেন তাঁরা। দেবাশিসবাবু জানান, বেহালা ও খিদিরপুর এলাকার প্রতিমা নিরঞ্জন দইঘাটে হলে সময় কম লাগবে, সুবিধাও হবে। পুরসভার ওই দল এ দিন গ্বালিয়র ঘাট, বাজে কদমতলা এবং নিমতলা ঘাটও ঘুরে দেখেন।

ফাঁকা বাড়িতে লুঠ টাকা-গয়না
লন্ডভন্ড সেই ঘর। —নিজস্ব চিত্র।
ফাঁকা বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। চিৎপুর থানা এলাকার রানি ব্রাঞ্চ রোডের ঘটনা। পুলিশ জানায়, সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক প্রৌঢ় তাঁর স্ত্রী বীথিকাদেবীর সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকেন। সুভাষবাবু শনিবার জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর তাঁরা গুয়াহাটি চলে যান। শনিবার সকালে ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির সামনে লোহার গ্রিলের ছিটকিনি বেঁকানো। বাড়ির পিছনের দিকের লোহার গ্রিলের একাংশ উধাও। বাড়িতে ঢুকে সব দেখে চিৎপুর থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ, দোতলার তিনটি ঘরই লণ্ডভণ্ড ছিল। দু’ঘরের দু’টি আলমারিই খোলা। বীথিকাদেবী বলেন, “দেখে মনে হল, ঘরের কোথায় কী ছিল তা চোরেরা ভাল করে জানত। ঠাকুরঘরের চৌকির গদির নীচ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে আলমারি খুলে চুরি করেছে। ঠাকুরের সিংহাসনও বাদ দেয়নি চোরেরা।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস ছ’য়েক আগে এক রাজমিস্ত্রিকে দিয়ে ওই দোতলা বাড়িটি রং করানো হয়েছিল। চুরিতে সেই রাজমিস্ত্রির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ) গৌরব শর্মা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক দিয়ে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

‘শ্লীলতাহানি’, ধৃত
এক তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পানশালা থেকে গ্রেফতার হল চার যুবক। শুক্রবার, পার্ক স্ট্রিট থেকে। ধৃত বিজয় তিওয়ারি, চন্দন দে, অনুপ সিংহ ও সন্দীপ মান্না হাওড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ওই দিন বি টি রোডের বাসিন্দা বছর তেইশের ওই তরুণী এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে পানশালায় যান। তাঁর অভিযোগ, সেখানে ওই চার যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। এক যুবক তাঁর গায়ে হাত দেয়। পানশালার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, তরুণীর বন্ধু প্রতিবাদ করলে চার যুবকের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। পানশালা থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ যায় এবং ওই যুবকদের ধরে। ধৃতদের শনিবার আদালতে হাজির করা হলে জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়।

তার চুরির অভিযোগে গ্রেফতার ৩
গোডাউন থেকে বৈদ্যুতিক কপার তার চুরির অভিযোগে শনিবার পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে কেসি রোডের একটি তারের গোডাউনে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম হল শাহরুখ খান, কমলেশ সাউ এবং সাগর সাউ। গ্রেফতার হওয়া তিন জনে যথাক্রমে সর্বমঙ্গলা লেন, রাম গোয়াল ঘোষ রোড এবং কেসি রোডের বাসিন্দা। শনিবার ধৃত তিন জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ২ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা ওই গোডাউন থেকে ৩০০ মিটারের একটি কপার তার চুরি করেছিল। গ্রেফতারের পরে ধৃতদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া তার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোনা সমেত ধৃত যুবক
দেড় কেজি সোনা সমেত ধরা পড়ল এক যুবক। শুক্রবার রাতে কলকাতা বিমান বন্দরে। একুশ বছর বয়সি জওহর আব্বাস সঈদের বাড়ি বেঙ্গালুরুতে। সে ব্যাঙ্কক থেকে ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় নামেন। তার জিন্সের প্যান্টের ভিতের একটি অতিরিক্ত পকেট থেকে তিনটি সোনার বার উদ্ধার হয়। যার মূল্য প্রায় ছেচল্লিশ লক্ষ টাকা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.