কিশোরীকে পাচার, জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে এক কিশোরীকে পাচারের দায়ে দুই মহিলা-সহ ছ’জনের দশ বছর কারাদণ্ডের সাজা দিলেন পুরুলিয়ার ফাস্ট ট্র্যাক-১ কোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রসাদকুমার রায়। মামলার সরকারি আইনজীবী নন্দুলাল সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মানবাজার থানার সিজাডি গ্রামের রাখডি টোলার বাসিন্দা, চোদ্দো বছরের এক কিশোরী বাড়ির কাজ করা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে পুরুলিয়া শহরে চলে আসে। সেখানে তার সঙ্গে শহরেরই কসাই মহল্লার বাসিন্দা শেখ কালু ও শেখ বাব্বনের আলাপ হয়। তারা ওই কিশোরীকে সে দিনই শেখ আসলাম ও মুন্নি বিবির কাছে নিয়ে যায়। তারাও কসাই মহল্লার বাসিন্দা। তারা ওই কিশোরীকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে পুরুলিয়া থেকে গুজরাটের গাঁধীনগরে নিয়ে গিয়ে মুকেশ বাগলা ও দ্রৌপদী বেন নামে এক মহিলার কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। সেখানে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে প্রচণ্ড খাটানো হত। এক দিন কোনও ভাবে নজর এড়িয়ে ওই কিশোরী পালিয়ে স্থানীয় মানুষের সাহায্যে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গুজরাটের পুলিশ মানবাজার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। মানবাজার থানার পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে আনে। পরে কিশোরীটির অভিযোগের ভিত্তিতে ছ’জনের বিরুদ্ধে মানবাজার থানায় অপহরণ ও পাচারের মামলা শুরু হয়। শুক্রবার বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছ’জনকেই দশ বছর জেলের সাজা শোনান।
|
খুনের দায়ে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে আত্মীয়াকে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার দায়ে যাবজ্জীবন জেল হল বাবা, মা ও ছেলের। শুক্রবার ওই রায় ঘোষণা করেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিত চক্রবর্তী। মামলার সরকারি আইনজীবী নন্দুলাল সিংহানিয়া জানিয়েছেন, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ঝালদা থানা এলাকার ছোটবকত গ্রামে ২০১১ সালের ১৩ মে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে পড়শি তথা আত্মীয় ইন্দ্রনারায়ণ সাওকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়। পর দিন নিহতের ছেলে ঝালদা থানায় পড়শি প্রদীপকুমার সাও, তাঁর স্ত্রী রেখা ও তাঁদের ছেলে অজয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ দিন অভিযুক্ত তিন জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
|
ক্ষতিপূরণের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলল কৃষকসভা। বৃহস্পতিবার সংগঠনের সদস্যেরা সোনামুখী রেঞ্জ অফিসে ওই দাবি জানান। সোনামুখী থানা কমিটির সম্পাদক মলয় চক্রবর্তীর দাবি, “সারা বছর ধরে হাতির হানা চললেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। এ দিকে হাতির আক্রমণে চলতি মাসেই তিন জন জখম হয়েছেন। তাঁরাও সাহায্য পাননি।” সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার হরেন্দ্রনাথ বাউরি বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে ওঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
|
তিন দুষ্কৃতী গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নিতুড়িয়া |
পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক থেকে তিন দুস্কৃতীকে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতেরা বর্ধমানের কুলটি থানার সোদপুর ওয়ার্কশপ এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি পিক-আপ ভ্যান সমেত তাদের ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান মিলেছে।
|
বাজ পড়ে মৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে একই জায়গায় মৃত্যু হল দু’জনের। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। মৃতেরা হলেন পাত্রসায়রের সানিপুকুর পাড় এলাকার মাধবী বাগদি (৩৯) ও রানা বাগদি (১২)।
|
পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু, জখম ১ |
সাইকেলে সব্জি বিক্রি করতে যাওয়ার পথে ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন জনের। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া -জামশেদপুর রাস্তায় পুরুলিয়া মফস্সল থানার শিমুলিয়ার কাছে। মৃত রতন মাহাতো (৩০ ) ও আদিত্য সিংহ (৪৮ ) বরাবাজার থানার প্রতাপপুরের বাসিন্দা। অন্য জন মানিকচন্দ্র মাহাতোর (১৯ ) বাড়ি কেন্দা থানার সিদরপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলেই প্রথম দু’জনের মৃত্যু হয়। মানিককে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরে বাসিন্দারা জনবহুল রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলার আরামবাগ থানার বলরামপুরে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইক চালক ও মহিলা আরোহীর। মৃত শ্যামল কুণ্ডুর (৫৮ ) বাড়ি স্থানীয় ধরমপোতা গ্রামে। তিনি বিমা সংস্থার এজেন্ট। তাঁর বাইকে চড়ে মুথাডাঙায় বাড়ি ফিরছিলেন ডাক বিভাগের এজেন্ট সন্ধ্যা পাল (৪৬ )। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। বাঁকুড়ার কদমাঘাটিতে শনিবার দাদার দেহ দাহ করে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় জখম হলেন এক যুবক। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার জেরে কিছু ক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |